cryptocurrency – Bengali News 365 | বাংলা খবর, প্রতিদিন, বছরের ৩৬৫ দিন। https://bengalinews365.com Fri, 09 Dec 2022 21:12:45 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.5.2 https://bengalinews365.com/wp-content/uploads/2022/11/BN365-logo-256p-150x150.png cryptocurrency – Bengali News 365 | বাংলা খবর, প্রতিদিন, বছরের ৩৬৫ দিন। https://bengalinews365.com 32 32 211438164 ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে বিনিয়োগ কতটা ঝুঁকি সাপেক্ষ? আইনকে কি পাশে পাবে বিনিয়োগকারীরা? https://bengalinews365.com/is-cryptocurrency-legal-in-india/ https://bengalinews365.com/is-cryptocurrency-legal-in-india/?noamp=mobile#respond Sat, 26 Nov 2022 19:04:08 +0000 https://bengalinews365.com/?p=282 “বল বল বল সবে/ শত বীণা বেনু রবে
ভারত আবার জগত সভায়/ শ্রেষ্ঠ আসন লবে”

উক্ত দুটি লাইনের অর্থ একেবারে যথার্থ হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে। এক সমীক্ষার দ্বারা জানা গেছে যে, ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়াতে বিনিয়োগের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ স্থান লাভ করেছে ভারতবর্ষ। ভারতের প্রায় ১০ কোটি মানুষ ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করেছেন। এই সংখ্যার তুলনায় ইউএসএ তে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা তুচ্ছ মনে হবে। তার কারণ ইউএসএ তে মাত্র ১.৩ কোটি মানুষ ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করেছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি

এবার প্রশ্ন হল ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ ভারতবর্ষে আইনসম্মত নাকি আইন বিরুদ্ধ? যদি তা আইন বিরুদ্ধ হয়, তবে সেকেন্ডের মধ্যে ঘুম উড়ে যাবে এই ১০ কোটি বিনিয়োগকারীর। আর প্রশ্নের উত্তর যদি ইতিবাচক হয়, তবে এই ১০ কোটি মানুষ স্বপ্ন দেখবে আরো এগিয়ে যাওয়ার। সঠিক উত্তরটি জানতে হলে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। এছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি কি এবং কিভাবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি এর দ্বারা এই কারেন্সি পরিচালনা করা হয়, তার সমস্ত তথ্য এই ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে।

অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল কারেন্সি এবং বাস্তবে এর কোন অস্তিত্ব এখনো পর্যন্ত উপলব্ধি করা যায়নি। এছাড়া এর নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণরূপে প্রাইভেট সংস্থাগুলির উপর। আরো শোনা গিয়েছিল যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি এন্ড রেগুলেশন অফ অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল ২০২১ দ্বারা ক্রিপ্টোকারেন্সের উপর এক নতুন নিয়মানুবর্তিতা প্রযোজ্য হবে। কিন্তু আর.বি.আই. থেকে শুরু করে রাজ্য বা কেন্দ্র সরকার কেউই এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন প্রকার আলোকপাত করেনি।

তবে কি ভারতবর্ষে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ?

২০২১ থেকে ২০২২ সালে এসেও ভারতে ক্রিপ্টো কয়েনের ওপর কোন আইনি নিষেধাজ্ঞা আনা হয়নি। সেই মতে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ ভারতবর্ষে এখনো পরোক্ষভাবে আইন সম্মত। অপরদিকে সরকারের তরফ থেকে কোন নিয়ন্ত্রণ বা আইন এই ব্যাপারে লাগু হয়নি। যার ফলে সন্দেহ থেকেই যায় যে, ভবিষ্যতে এটি আইন বিরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা! তবে যেহেতু এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটির মত মানুষ ক্রিপ্টোতে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করে বসে আছে এবং শুধুমাত্র মানুষই নয় তাদের সাথে সাথে বেশ কিছু নামজাদা কোম্পানিও বিনিয়োগ করেছে, তাই হয়তো সরকার এতটা কঠোর হৃদয় হবে না।

কোন দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি পুরোপুরি আইন সম্পন্ন?

এখনো পর্যন্ত এল.সালভাডোর নামক দেশটিতে সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। এদেশে বিনিয়োগ বা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন সম্পূর্ণরূপে আইনসম্মত।

এর কারণ কি?

ক্রিপ্টোকারেন্সির আসার পর পরই এই দেশের সরকার এটিকে আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করে। এমনকি, এই দেশের মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে নির্দ্বিধায় কোন জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করতে সক্ষম হয়। এর প্রধান কারণ হলো ইকোনমিক রেমিটেন্স। অর্থাৎ এই দেশের বাইরে থেকে মোটা অংকের অর্থ প্রদান করা হয় দেশের ভেতরে। যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এই সুবিধাকে আরো পোক্ত করার জন্য এই দেশের প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন যে বাইরে থেকে আসা কোন ব্যক্তিও এই কয়েনের মাধ্যমে লেনদেন বা বিনিয়োগ করতে পারবেন। যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

কোন দেশগুলিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি আধা আইনসম্পন্ন?

হ্যাঁ, পৃথিবীতে এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে, যাদের সরকার পুরোপুরিভাবে আইনি আওতায় আনতে পারেনি ক্রিপ্টোকারেন্সিকে। বেশ কিছু জায়গায় ছাড় প্রদান করেছে। যেমন ইউএসএ; এখানে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টেন্ডার করা সম্ভব হবেনা। কিন্তু কোন ব্যক্তি ক্রিপ্টোকে নিজের সম্পদ হিসেবে গচ্ছিত রাখতে পারবেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি পুরোপুরি নিষিদ্ধ এমন কোন দেশ আছে কি?

অবশ্যই কিছু দেশে রয়েছে যেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পূর্ণরূপে আইন দ্বারা নিষিদ্ধ। এই সমস্ত দেশগুলি হল বাংলাদেশ, চীন, ইরাক, কাতার, মিশর, মরক্কো ইত্যাদি।

এই কারেন্সি ব্যবহারে ভারতে সত্যি কি কোন ক্ষতি হতে পারে?

এখনো পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির আশীর্বাদ বা অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক চলতে পারে। ২০১৮ সালে হঠাৎই আর.বি.আই-এর ঘোষণার অনুযায়ী, পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার শিকল পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কারেন্সিগুলিতে। তবে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ার পর ২০২০ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা আবার তুলেও নেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্রিপ্টো জগত হল দেশের অর্থনৈতিক যোগানের একটি অতীব শক্তিশালী কেন্দ্র। এতে মানুষসহ সরকারও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আর্থিক সুবিধা লাভ করতে পারে। যদিও এই কারেন্সির বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক বর্তমান। তবুও এই জগতটি পরবর্তীতে ভারতের অর্থনীতিকে ভীষনভাবে সহায়তা করতে সক্ষম হবে।

তবে দেশের সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে এর ক্ষতিকারক দিকগুলি যাচাই করে দেখা এবং তার উপর নিয়ন্ত্রণ আনা। এর থেকে আঁচ করা যেতে পারে যে, ভবিষ্যতে এই কারেন্সির উপর ভরসা করা যাবে। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ হয়তো বিফলে যাবে না।

ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আরো জানতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bengalinews365.com/is-cryptocurrency-legal-in-india/feed/ 0 282
জানুন ব্লকচেইন সম্পর্কিত সকল গোপন তথ্য এক নজরে https://bengalinews365.com/detail-information-about-blockchain/ https://bengalinews365.com/detail-information-about-blockchain/?noamp=mobile#respond Thu, 24 Nov 2022 14:41:32 +0000 https://bengalinews365.com/?p=270 ‘ব্লকচেইন’ (Blockchain) নামটি কে দু’ভাগে বিভক্ত করলে পাওয়া যায় – ব্লক ও চেইন। এই দুটি শব্দই প্রায় সকলের কাছে পরিচিত। কিন্তু যখনই এই দুটি শব্দকে একত্রে উচ্চারণ করা হয় ‘ব্লকচেইন’ হিসেবে, তখনই এই নামটি অচেনা হয়ে দাঁড়ায় বহু মানুষের কাছে।

ব্লকচেইন

বর্তমানের একাংশ ব্লকচেইন প্রযুক্তির সম্পর্কে জ্ঞাত হলেও, বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনো পর্যন্ত জানেন না ব্লকচেইন কি বা এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা কতটা? আজকের এই প্রতিবেদন আশা করি আপনাদের সকলের পৌঁছে দেবে ব্লকচেইন প্রযুক্তির (Blockchain Technology) সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য।

ব্লকচেইন কি?

ইতিমধ্যে আমরা সকলেই প্রায় ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ কথাটির সঙ্গে পরিচিত হয়েছে। আমাদের পারিপার্শ্বে যেমন ব্যাংক থাকে, যেখানে আমাদের গচ্ছিত সম্পদ বা অর্থ নিরাপদে রাখা যায়। তেমনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যাংক হিসেবে পরিচিত হল ব্লকচেইন।

ব্লকচেইন শব্দটি দুটি ভিন্ন ভিন্ন শব্দের সংগঠন। একটি হল ব্লক এবং অপরটি হল চেইন। ডেটা বা তথ্য সংরক্ষণের দীর্ঘ চেইনকে বলা হয় ব্লকচেইন। ভার্চুয়াল মুদ্রার সমস্ত তথ্য এনকোড করা হয় ব্লকগুলিতে এবং এইভাবে একটি ব্লক আরেকটি ব্লকের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে।

প্রতিটি ব্লকে কিছু না কিছু তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং প্রত্যেকটি ব্লককে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ইউনিক নম্বর থাকে। এই ইউনিক নম্বরটিকে ‘hash’ বলা হয়। প্রতিটি ব্লকে তার পূর্ববর্তী ব্লকের hash তথ্য সংরক্ষিত থাকে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি?

আপনার কাছে ব্লকচেইন প্রযুক্তিটি নতুন মনে হলেও, মোটেই এটি একদম নতুন নয়। এই প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটে ১৯৯১ সালে। স্টুয়ার্ট হ্যাবার এবং ডব্লিউ স্কট স্টর্নেটা এই দুই ব্যক্তির হাত ধরে মানুষ প্রথম বুঝতে শুরু করেন ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি মানেই হলো টাইমস্ট্যাম্প ডিজিটাল ডকুমেন্টস। এর অর্থ কি? এর অর্থ হলো অপরিবর্তনশীল ডিজিটাল তথ্যাদি। অর্থাৎ এই প্রযুক্তি দ্বারা ভার্চুয়াল মুদ্রা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা যায়। যা অন্য কেউই পরিবর্তন করতে পারবে না।

সাতোশি নাকামোতো নামক এক জাপানি ব্যক্তি ২০০৮ সালে এই প্রযুক্তিকে হাতিয়ার বানিয়েই তৈরি করে ফেলেন বিটকয়েন। আর তারপর থেকেই ব্লকচেইন প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।

ব্লকচেইন-এর ইতিহাস

১৯৯১ সালে স্টুয়ার্ট হাবের (Stuart Haber) এবং স্কট স্টরেনট্টো (W. Scott Stornetta)দুজন মিলে সর্বপ্রথম ব্লকচেইন প্রযুক্তি তৈরী করেন। অবশ্য নাকামোতোর বিটকয়েন আবিষ্কারের পরই এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার শুরু হয়। এবং মানুষেরও এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন হয় বেশি করে।

ব্লকচেইন কাজ করে কিভাবে?

ব্লকচেইন সাধারণত peer to peer নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সক্রিয় থাকে। অর্থাৎ ব্লকচেইনের প্রত্যেকটি ব্লকে যেসমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে, তা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যে কোন ব্যক্তি যাচাই করে নিতে পারেন।

সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করে বলা যেতে পারে যে, এটি ব্যাংক বা কোন দপ্তরে রাখা লেজার নামক খাতাটির সমান। যে কোন ব্যাংক বা দপ্তরে এরকম একটি খাতা থাকে, যার মধ্যে সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এই খাতাটিকে লেজার বলা হয়ে থাকে। শুধুমাত্র সেই দপ্তরের কর্মী ছাড়া অন্য কোন গ্রাহক বা তৃতীয় কোন ব্যক্তি সেই খাতাটিকে ব্যবহার করতে পারেনা। ব্লকচেইন প্রযুক্তিকেও ডিস্ট্রিবিউটেড ওপেন লেজার হিসেবে বলা যেতে পারে। ডিজিটাল মাধ্যমে ডিজিটাল কারেন্সির সমস্ত লেনদেন এই ব্লকচেইন প্রযুক্তির দ্বারা ব্লকে সংরক্ষিত থাকে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, যখন আপনি কোনো ক্রিপ্টো কয়েন অন্য কোনো ব্যক্তিকে পাঠাবেন, তখন সেই ব্যক্তির নাম, ঠিকানা সবই ব্লকের মধ্যে সংরক্ষিত হয়ে যায়। ব্লকটিকে hash দিয়ে সুরক্ষিত রাখা হয়। এইভাবে যত ভারচুয়াল কারেন্সির লেনদেন হয়, তা সবই ব্লকের মধ্যে সংরক্ষিত হতে থাকে। আর এই সকল ব্লক বিভিন্ন কম্পিউটার দ্বারা পরিচালনা করা হয়। একটির পর একটি ব্লক তৈরী হতে হতে ব্লকচেইন গঠিত হয়।

ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্লকগুলিকে বারবার ভেরিফাই করলে, ব্লকগুলিতে থাকা তথ্য আরও বেশি করে সংরক্ষন করা সম্ভব। এর ফলে এগুলি  অপরিবর্তন রাখা যায় দীর্ঘ সময়ের জন্য। আর এই কারনেই ব্লকচেইন প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ব্লকচেইন ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা

একনজরে দেখে নেওয়া যাক ব্লকচেইন প্রযুক্তির সুবিধাগুলি ঠিক কি কি:-

  • অনলাইন ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন এর ক্ষেত্রে ব্লকচেইন প্রযুক্তি হল সবচেয়ে সুরক্ষিত একটি মাধ্যম। লেনদেন সম্পর্কিত সকল তথ্য ব্লকগুলিতে সাথে সাথে সংরক্ষিত হয়ে যায়।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি লেনদেনের অত্যন্ত নিরাপদ একটি মাধ্যম। এটিতে তথ্য চুরি বা পরিবর্তন হওয়ার কোনো ঝুঁকি থাকেনা।
  • যেকোনো প্রকার ব্যাংক বা অর্থনেতিক প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেনগুলি যদি এই প্রযুক্তি দ্বারা করা হয়, তবে সেই অর্থ সর্বদাই সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে যদি ভোট গ্রহণ সম্ভব হয়, তবে সেক্ষেত্রে ভোট কারচুপিরও কোনো সুযোগ থাকবে না।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি স্বাস্থ্য দপ্তরকেও উন্নত করতে সহায়তা করে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে আরো জানতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়

]]>
https://bengalinews365.com/detail-information-about-blockchain/feed/ 0 270
বাংলায় ক্রিপ্টো-বৃতান্ত, জানুন ক্রিপ্টোকারেন্সির গোড়ার কথা https://bengalinews365.com/details-about-cryptocurrency-in-bengali/ https://bengalinews365.com/details-about-cryptocurrency-in-bengali/?noamp=mobile#respond Tue, 22 Nov 2022 18:40:45 +0000 https://bengalinews365.com/?p=262 দিন যতই এগোচ্ছে মানুষ ততই নতুনত্বকে স্বাগত জানাচ্ছে। আমরা এতদিন ক্রয় বিক্রয় তথা ব্যবসা বাণিজ্য সকল ক্ষেত্রে হাতে হাতে সরাসরি টাকার লেনদেন দেখে এসেছি। সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর ধরেই এই সরাসরি টাকা লেনদেন পদ্ধতির পাশাপাশি মানুষ ঝুঁকছে অনলাইনে ফোনের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের প্রতি। ভাবতে অবাক লাগে যে, সঙ্গে একখানি স্মার্ট ফোন থাকলেই বর্তমানে পুরো বিশ্বকে জয় করে নেওয়া সম্ভব।

আজকে আরও একটি অবাক করা কথা বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব এই প্রতিবেদনে। এতদিন যাবৎ আমরা সম্পত্তি বা অ্যাসেট বলতে আমাদের জমানো টাকা পয়সা বা জমি জায়গাকে বুঝে এসছি। কিন্তু এই অত্যাধুনিক টেকনোলজির যুগে ডিজিটাল অ্যাসেট (Digital Asset) বা অনলাইন সম্পত্তিও অধিকার করা সম্ভব হয় জানেন কি? এই ডিজিটাল অ্যাসেটের অন্যতম দাপ্তরিক নাভ হল ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency)। ইতিমধ্যে বহু সংখ্যক মানুষ ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ শব্দটির সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ সাধারন জনগনের কাছে শব্দটি সম্পূর্ণ অপরিচিত।

ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) কি?

প্রথমেই মনে যে প্রশ্নটি উঁকি মারছে, সেটি হল – ক্রিপ্টোকারেন্সি কি? আসলে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি হল একপ্রকার মুদ্রা। কিন্তু এই মুদ্রা শুধুমাত্র ইন্টারনেটের দুনিয়াতেই কার্যকরী। তাই একে ডিজিটাল মুদ্রা বা ভার্চুয়াল মুদ্রা (Virtual Mudra/Coin) বলা হয়ে থাকে। এই ধরনের কারেন্সিকে আমরা কখনোই সরাসরি দেখতে বা স্পর্শ করতে পারবো না। আমাদের টাকা যেমন ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে, সেরকমই ক্রিপ্টোকারেন্সি ডিজিটাল ওয়ালেটে সর্বদা সুরক্ষিত ও গচ্ছিত থাকে। এই ওয়ালেটের থেকে প্রয়োজনমতো এই ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেন করা যায়।

যদিও এখনো অবধি ভারতীয় মুদ্রা বা বিদেশি ডলার ইত্যাদির মত এই ক্রিপ্টোকারেন্সি সরকারের নিয়ন্ত্রণের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। এটি শুধুমাত্র অনলাইনে ক্রিপ্টোকারেন্সির অধিকর্তারাই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি-এর অর্থ?

গোঁদা বাংলা ভাষায় বলতে গেলে, ক্রিপ্টোকারেন্সের মানে দাঁড়ায় ‘গুপ্ত অর্থ’। ক্রিপ্টো-এর (Crypto) বাংলা মানে হলো ‘গুপ্ত’। আর কারেন্সির (Currency) বাংলা মানে হলো ‘অর্থ’। এই দুইয়ে মিলে দাঁড়াল গুপ্ত অর্থ।

যদিও এই অর্থ সম্পূর্ণরূপে যথার্থ। তার কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন বা সঞ্চয় সর্বদাই গোপন থাকে। ক্রিপ্টোকারেন্সির ডিজিটাল ওয়ালেট সেই কারেন্সির অধিকর্তা ছাড়া অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তি কোন প্রকার নিয়ন্ত্রণ বা ব্যবহার করতে পারেনা। যার ফলে এটিকে হামেশাই ‘গুপ্ত অর্থ’ বলে সম্বোধন করা যেতে পারে।

কিছু জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম

বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সির সংখ্যা চার হাজার ছাড়ালেও, ১০টি কারেন্সি আছে, যা বহুল জনপ্রিয়তা লাভ করে প্রথম সারিতে স্থান পেয়েছে।
• বিটকয়েন (Bitcoin)
• ইথেরিয়াম (Ethereum)
• টিথার (Tether)
• ইউ.এস. ডলার কয়েন (USD Coin)
• বাইনান্স কয়েন (Binance Coin)
• বাইনান্স ইউ.এস.ডি. (Binance USD)
• কারডানো (Cardano)
• এক্সআরপি (XRP)
• ডজকয়েন (Dogecoin)
• পলিগন (Polygon)

ক্রিপ্টোকারেন্সি-এর ইতিহাস

ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রচলন খুব বেশিদিন না হলেও, এর উৎপত্তি কিন্তু বহু বছর আগেই ঘটেছে। সালটি প্রায় ১৯৮৩, ডেভিড চৌম নামে এক ব্যক্তি প্রথম ইন্টারনেটের সহায়তায় আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে আলোকপাত করেন। শুরুটা ১৯৮৩ সালে হলেও, তার গবেষণা বাস্তবে রূপ নেয় ১৯৯৫ সালে।

এরপর ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় প্রথম ঝড় তোলে ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামত নামক এক ব্যক্তি। তিনি প্রথম বিটকয়েন এর প্রচলন করেন। যদিও ২০২২ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সির সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় চার হাজার, তবুও বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা সর্বদাই উচ্চ।

কিভাবে কার্যকরী হয় এই ক্রিপটোকারেন্সি?

ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ব্লকচেইন (Blockchain) নামক প্রযুক্তির হাতে। আমাদের অন্য একটি প্রতিবেদনে ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি এবং তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে।

সাধারণত ব্যাংকে যেমন কম্পিউটারে সমস্ত গ্রাহকদের লেনদেনের তথ্য এবং নথি সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে ব্লকচেইনে এই কারেন্সির সমস্ত লেনদেনজনিত তথ্য সংরক্ষিত থাকে।

লেনদেনের জন্য কোন ব্যাংক অথবা কোন প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। একটি স্মার্ট ফোনই যথেষ্ট এই কারেন্সি লেনদেনের জন্য। তবে আপনাকে অবশ্যই একটি ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। একমাত্র এই একাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি অন্য যে কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি অধিকর্তাদের সঙ্গে এই কারেন্সি লেনদেন করতে পারবেন।

যদিও পুরো পদ্ধতিটি গোপনীয়তা বজায় রেখেই সম্পন্ন হয়। আপনি কাকে কতটা কারেন্সি প্রদান করছেন বা তার থেকে কতটা কারেন্সি পাচ্ছেন, সেটি শুধুমাত্র আপনার এবং সেই ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তি কোন রকম ভাবে কিছু জানতে পারবেন না।

ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে কিভাবে লগ্নি করা যায়?

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লগ্নি করার পদ্ধতি খুবই সহজ। প্রথম ক্ষেত্রে আপনাকে আগে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে যে আপনি এমন একটি কারেন্সিতে টাকা ইনভেস্ট করতে চলেছেন, যেটি আপনি কখনো দেখেননি বা ছুঁতেও পারবেন না। যদি আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন, তবে ইনভেস্ট করতে পারেন।

• প্রথমে আপনাকে একটি বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম পছন্দ করতে হবে।
• দ্বিতীয়তঃ, এই প্লাটফর্মে আপনি আপনার সাধ্যমত টাকা দিয়ে ইনভেস্ট করে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারবেন।

এই রকম আরো অর্থনৈতিক সূলুক সন্ধান পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bengalinews365.com/details-about-cryptocurrency-in-bengali/feed/ 0 262