কিভাবে আপনার পাকা চুল কালো করবেন? খেতে হবে চারটি প্রয়োজনীয় খাবার।

কিভাবে আপনার পাকা চুল কালো করবেন? খেতে হবে চারটি প্রয়োজনীয় খাবার।

বয়স হলে চুলে পাক ধরাটা খুবই সাধারণ বিষয়। সেই পাকা চুল কালো করতে আমরা নানা রকম কেমিক্যাল এর সাহায্য নিয়ে থাকি। কিন্তু অনেক সময় কম বয়সেও চুলে পাক ধরা দেখা দিচ্ছে। অল্প বয়সে চুলে পাকধরার পেছনে মূলত কারণ হলো শারীরিক নানা প্রকার জটিলতা। একটি গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে, ৩০ বছরের পর থেকে মানুষের বছরে ১০ থেকে ২০ শতাংশ চুল পেকে যায় নানা প্রকার কারণে।

চুল করার পদ্ধতি

চুল পেকে যাওয়ার কারণ

তবে চুল পেকে যাওয়ার পিছনে প্রধান কারণ হলো ত্বকে মেলানিন তৈরির প্রবণতা কমে যাওয়া। জিনগত কারণে অনেক সময় অনেকের চুল খুব অল্প বয়সেই পেকে যায়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ও চুল পেকে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। বয়সকালের থেকেও অল্প বয়সে যখন মানুষের চুল পেকে যায়, তা সৌন্দর্যের ক্ষেত্রেও অনেকটাই প্রভাব ফেলে। মানুষ চিরকাল তার রূপ নিয়ে যথেষ্ট সচেতন, তাই সাদা চুলকে তারা কোনভাবেই বরদাস্ত করতে চান না ।

চুল কালো করার পদ্ধতি

সাদা চুল কালো করতে বাজারে নানা রকম রাসায়নিক দ্রব্য আছে এবং মানুষ তা ব্যবহার করে। কিন্তু অনেক সময় এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয় ও মানুষের শরীরে নানা রকম ক্ষতিও দেখা দিতে পারে। সব সময় চেষ্টা করা উচিত বাজারের জিনিসের পরিবর্তে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করার। রাসায়নিক রঙের পরিবর্তে অনেকেই ঘরোয়া পদ্ধতি এর উপর ভরসা রাখেন।

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন শুধুমাত্র উপর থেকে কালো রং করলে বা ব্যাগ মাখলেই তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন ভাতের সাথে পাতে রাখতে হবে কিছু কিছু খাবার। যা শরীরে পুষ্টি যোগাবে এবং ত্বকে আবার মেলানিন তৈরি করতে সাহায্য করবে। আমাদের বিস্তারিত জেনে নিতে হবে কি কি খাবার খেলে শরীরের ভিতর থেকে আমরা পুষ্টি পাব এবং প্রাকৃতিক নিয়মে আমাদের চুল কালো হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারে প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো হয়?

কারিপাতা

সবুজ কারি পাতার ঔষধি গুন বিপুল। রক্তে থাকা টক্সিন খুব সহজভাবেই দূর হয়ে যায় কারি পাতার মাধ্যমে। যদি আমাদের রক্ত পরিশোধিত হয়ে যায় তাহলে পাকা চুলের হাত থেকে আমরা মুক্তি পাব। রান্নাতে কারি পাতার ব্যাবহার খুবই উপকারী। এছাড়াও গাছের থেকেও আমরা সবুজ কারিপাতা ছিড়ে তা চিবিয়েও খেতে পারি। দুইভাবেই এটিকে ব্যবহার করা যায়।

আমলকি

আমলকির বহু গুণ শুধুমাত্র কালো চুলের জন্যই নয় নতুন চুল গজাতেও আমাদের বহু সাহায্য করে। এছাড়াও আমলকিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি যা আমাদের বিপাক কার্যও সাহায্য করে থাকে। যদি এইসব শারীরিক কার্যগুলো সঠিক নিয়মে চলে তাহলে চুলে পাক তাড়াতাড়ি ধরে না। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকির রস আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এছাড়াও ভাতের সাথে আমলকির সেদ্ধ করেও খাওয়া যেতে পারে।

সামুদ্রিক মাছ

যখন আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনের অভাব দেখা দেয় তখনই আমাদের চুলে পাক ধরে। নিয়মিত ভাতের সাথে যদি আমরা কিছু পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ খাই তাহলে সেই প্রোটিনের অভাব মিটতে পারে। সামুদ্রিক মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড যা মানব শরীরের মাথার ত্বকের নতুন কোষ সৃষ্টিতে সাহায্য করে থাকে।

লিকার চা

অনেকেই শ্যাম্পু করার পরে চা পাতা ভেজানো জল দিয়ে চুল ধুয়ে থাকে এতে চুলের চকচকে ভাব বজায় থাকে। চায়ের লিকার আমাদের চুলের পক্ষে খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলেছেন দুধ ও চিনি ছাড়া লিকার চা আমাদের ত্বকে মেলানিনের মাত্রা অনেকটা পরিমাণে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

তাই উপরের খাবারগুলো যদি আমরা খেয়ে থাকি তাহলে অল্প বয়সে পাকা চুলের হাত থেকে রেহাই পাব। অপ্রাকৃতিক জিনিসের পরিবর্তে যদি আমরা প্রাকৃতিক জিনিসকেই বেছে নিই তা আমাদের শরীরের পক্ষেও ভালো এবং অনেক সস্তায় আমাদের অনেক লাভবান করে তোলে।

এইরকম আরো খিবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *