নতুন বছরে কোভিড এর চতুর্থ ঢেউ? করোনার বিএফ.৭ (BF.7) প্রজাতির সন্ধান ভারতে

নতুন বছরে কোভিড এর চতুর্থ ঢেউ? করোনার বিএফ.৭ (BF.7) প্রজাতির সন্ধান ভারতে

নতুন বছরের শুরুতেই ভারতে করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ বাড়তে চলেছে। চীনে এরমধ্যেই করোনার চোখ রাঙানিতে ভয়াবহ অবস্থা। মারণ ভাইরাস করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিএফ.৭ (BF.7 variant) এর দাপট দেখা যাচ্ছে চীনে। ভারতও এর হাত থেকে রেহাই পায়নি। যারা এই নতুন উপরূপে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে দুইজন গুজরাটের বাসিন্দা ও দুইজন ওড়িশার বাসিন্দা। তাহলে কি ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ (fourth wave) আসন্ন?

সরকারের উদ্বেগের কারণ

মানুষ যখন সবে একটু স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেছিল ঠিক তখনই কোভিড ১৯ ফের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। চিন, জাপান, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াতে ক্রমশ বেড়ে চলেছে করোনা, বিশেষতঃ নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিএফ.৭ (Omicron BF.7)। ভারতও এর হাত থেকে রেহাই পায়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে আরো বেশি এই নতুন করোনা সংক্রমণ ভারতে প্রবেশ করার ভয় রয়েছে। এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বিএফ.৭ (BF.7) দ্বারা সংক্রামিত একজন ব্যক্তি গড়ে ১০ থেকে ১৮.৬ জনের মধ্যে এই ভাইরাস-এর সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এটির উচ্চ সংক্রমণের হারের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দেখে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি বৈঠক ডেকেছে। যেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএফ.৭ (BF.7) এর কারণে আবার কি পাড়ায়-পাড়ায় , বাড়িতে-বাড়িতে কোভিড টেস্ট ফিরতে চলেছে?
আবার কি পাড়ায়-পাড়ায় , বাড়িতে-বাড়িতে কোভিড টেস্ট ফিরতে চলেছে?

বিএফ.৭ (BF.7) এর মূল লক্ষণগুলি কি কি?

এই মারণ ভাইরাস এর বারবার মিউটেশনের ফলে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এর লক্ষণগুলিও পরিবর্তিত হচ্ছে ক্রমাগত।টিকা নেওয়া সত্ত্বেও বহু মানুষ আবারো আক্রান্ত হচ্ছে। বিএফ.৭ (BF.7) নামক এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট (variant) এর মূল লক্ষণগুলি হলো গন্ধ হ্রাস পাওয়া, গলাব্যথা, হাঁচি. কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, পেটের সমস্যা ইত্যাদি। সাধারণতঃ কোভিড-১৯ আক্রান্তরা প্রথম ৫ দিন পর্যন্ত সংক্রমণ ছড়াতে পারে না। তবে এখনো পর্যন্ত যতদূর জানা গেছে, এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট আরো দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। তাই এই সব উপসর্গগুলির মধ্যে কোন একটিও দেখা দিলে অন্য কারোর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা ভালো। অন্তত দশ দিনের জন্য বয়স্ক ও শিশুদের থেকে দূরে থাকতে হবে।

সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কাদের বেশি?

গবেষকরা বলেছেন যে, এই ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং আরটিপিসিআর টেস্ট করেও সঠিক রোগটি শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই এখনো যারা করোনার ভ্যাক্সিন নেননি তাদের এই নতুন উপরুপ থেকে সংক্রমিত হওয়ার ভয় রয়েছে। ডায়াবেটিস, কিডনি রোগীদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে এবং দ্রুত শ্বেতকণিকার হার কমিয়ে দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। ভাইরাস প্রতিহত করার এন্টিবডি তৈরি হলেও তা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারছে না।

ওমিক্রন-এর সাথে বিএফ.৭-এর মিল

বিএফ.৭ (BF.7) হলো করোনার ওমিক্রন এরই আরেকটি ধরণ বা উপরুপ, অথবা সাব-ভেরিয়েন্ট (sub-variant)। বিএফ.৭ (BF.7) এর লক্ষণগুলোও অনেকটাই আগের ওমিক্রন করোনার উপরূপের মতো। শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা, হাঁচি, কাশি, সর্দি, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া – এইগুলি হচ্ছে এই রোগের প্রধান উপসর্গ।

কোভিড-১৯ ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্ট বিএফ.৭ (Omicron subvariant BF.7) সম্বন্ধে আরো জানতে পড়ুন -> https://en.wikipedia.org/wiki/SARS-CoV-2_Omicron_BF.7_variant

আরো বিস্তারিত খবর জানতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পেজগুলিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *