ডিজিটাল ভারতের ডিজিটাল মুদ্রা, জেনে নিন ই-রুপি এর সুবিধা

ডিজিটাল ভারতের ডিজিটাল মুদ্রা, জেনে নিন ই-রুপি এর সুবিধা

বর্তমানে দেশের পাশাপাশি উন্নত হচ্ছে দেশের মানুষজন। আগে ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গেলে লাইন দিয়ে টাকা তুলতে হতো, কিন্তু বর্তমানে এটিএম আসায় তার মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই টাকা তুলতে পারছেন সাধারণ মানুষ। তাহলে ই-রুপি কিভাবে কাজে লাগবে? আজকাল লেনদেনের ক্ষেত্রেও কোনো জিনিস কেনাকাটা করলে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করে দেওয়া যাচ্ছে। ফলস্বরূপ, বর্তমানে ভারত আস্তে আস্তে ডিজিটাল হচ্ছে। ডিজিটাল ভারতের নতুন চমক ডিজিটাল মুদ্রা।

আরবিআই চালু করলো ই-রুপি - RBI launches e-RUPI / E-Rupee
আরবিআই চালু করলো ই-রুপি

ডিজিটাল মুদ্রা ভারতে

বর্তমানে অন্যান্য দেশে প্রায় সবকিছুই ডিজিটাল মাধ্যমে চলছে। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও অন্যান্য দেশের মানুষ ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন করছে। এর ফলে তাদের সুবিধাও হচ্ছে। তবে এই ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করছে বেশ কিছু দেশ। আর সেই দেশের তালিকায় চলতি বছরের যুক্ত হল ভারত। ভারতে এমন কয়েকটি ব্যাঙ্ক বেছে নেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে নগদের পরিবর্তনে ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে।

আরবিআই-এর বেছে নেওয়া ব্যাঙ্ক এবং কিছু জায়গা

১লা ডিসেম্বরে আরবিআই এই ডিজিটাল মুদ্রা বাজারে এনেছেন। তবে বর্তমানে ভুবনেশ্বর, মুম্বই, নয়া দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুতে এই ডিজিটাল মুদ্রার পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কেও এই ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেন করার পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে ভারত যে ব্যাঙ্কগুলিকে বেছে নিয়েছে সে ব্যাঙ্কগুলি হল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক ও আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক।

ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন

তবে ভাবছেন আপনি কিভাবে এই ডিজিটাল মুদ্রা পাবেন? আপনার মোবাইল ফোনেই ওয়ালেটে পাবেন এই ডিজিটাল মুদ্রা। বর্তমানে যে কোনো কোম্পানি বা দোকানে সব জায়গাতেই লেনদেন করা যাবে নগদ টাকার পরিবর্তে এই ই-রুপির মাধ্যমে। তবে বর্তমানে আরবিআই আটটি ব্যাঙ্ককে এই ডিজিটাল মুদ্রা পরিষেবা দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে। তবে পরবর্তী ধাপে আরও চারটি ব্যাঙ্ককে বেছে নেবেন বলে জানিয়েছেন।

নগদ টাকার সমতুল্য ই-রুপি

জানা যাচ্ছে আরবিআই-এর মাধ্যমে বেছে নেওয়া ব্যাঙ্কগুলি যে যার নিজস্ব ই-রুপি লঞ্চ করবেন। আর সেই রুপি দোকানে লেনদেনের ক্ষেত্রে কিউআর কোড ব্যবহার করে করতে হবে। এছাড়া বেশ কিছু নির্দিষ্ট দোকান বা সংস্থায় এই ই-রুপি ব্যবহার করা যায়। যাদেরকে বলা হয় ক্লোজড ইউজার গ্রুপ। তবে জানা গিয়েছে, এই ডিজিটাল মুদ্রা নগদ টাকার সমতুল্য।

অনলাইনে লেনদেন ই-রুপি

অর্থাৎ নগদ টাকা লেনদেনে অনেক অসুবিধা হওয়ার কারণেই তার সংস্করণে এই ডিজিটাল মুদ্রা আনা হয়েছে। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় এই ডিজিটাল মুদ্রা নগদ টাকা সংস্করণ। তবে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোন, ল্যাপটপে অনলাইনের মাধ্যমে। এছাড়া এই ডিজিটাল মুদ্রা শুধু “পার্সন টু পার্সন”-এর ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে তা নয়। এই ই-রুপি ব্যবহার করা যাবে “পার্সন টু পার্সন” এবং “পার্সন টু মার্চেন্ট” উভয় ক্ষেত্রে। যে কোনো জায়গায় কিউআর কোড স্ক্যান করলেই এই ই-রূপির মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব হবে।

ই-রুপি ব্যবহার করার ইতিবাচক দিক

RBI জানিয়েছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির তুলনায় এই ডিজিটাল মুদ্রা বেশ সুরক্ষিত। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও এই ডিজিটাল মুদ্রাকে বৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়া এই ডিজিটাল মুদ্রার আরো অনেক সুবিধা রয়েছে।

ডিজিটাল মুদ্রাকে খুব সহজেই নগদ টাকা বা বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক মুদ্রায় পরিবর্তন করা যেতে পারে।

এছাড়া আইনিভাবে এই ই-রূপি স্বীকৃতি পাওয়ায় ব্যাঙ্কের গ্রাহক না হলেও এই ই-রুপি লেনদেন করা যেতে পারে।

এছাড়া, আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল নগদ টাকা নষ্ট হলেও এই ই-রূপি কিন্তু নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এছাড়া, ক্রিপ্টোকারেন্সির তুলনায় এই ডিজিটাল মুদ্রা খুবই সুরক্ষিত। কারণ তা কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের নজরে থাকবে।

এছাড়া, আর একটি সুবিধা হল নির্দিষ্ট ব্যঙ্কগুলি নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা লঞ্চ করার কারণে এই ডিজিটাল মুদ্রা অন্য কোনো ডিজিটাল মুদ্রায় রুপান্তরিত করা যাবে না।

ই-রুপি সম্বন্ধে আরো জানতে পড়ুন -> https://en.wikipedia.org/wiki/Digital_Rupee

এরকম আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *