Twitter Name Change: ‘টুইটার’ কে কেনো বিদায় জানালেন ইলন মাস্ক?

Twitter Name Change: ‘টুইটার’ কে কেনো বিদায় জানালেন ইলন মাস্ক?

কয়েক মাস আগেই বেশ টানা পোড়েনের পর ইলন মাস্ক অধিগ্রহণ করেন ট্যুইটারকে। এটি সারা বিশ্বের কাছে অন্যতম একটি মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্ম। আর মাস্কের অধীনে যাওয়ার পর থেকেই তিনি ট্যুইটারে বেশ পরিবর্তন করেছেন। তৎকালীন সিইও কে ছাঁটাই থেকে ব্লুটিক সাবস্ক্রিপশন অনেক পরিবর্তন নিয়েই আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। এত পর্যন্তও ঠিক ছিল, তবে এবার কি ট্যুইটার-এর নামও পরিবর্তন (Twitter Name Change) হয়ে গেলো?

ট্যুইটার-এর নাম পরিবর্তন (Twitter Name Change)

সম্প্রতি ইলন মাস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে তার মালিকানাধীন মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটির নতুন ব্র্যান্ড উন্মোচন করলেন। তিনি ঘোষণা করেন যে এবার থেকে ট্যুইটারের নতুন নাম হচ্ছে ”X”। ট্যুইটারে নতুন লোগো তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট টিম তৈরি করেছিলেন কর্তৃপক্ষ।

Twitter name change controversy / টুইটার-এর নাম পরিবর্তন নিয়ে তুমুল বিতর্ক
Twitter name change controversy / টুইটার-এর নাম পরিবর্তন নিয়ে তুমুল বিতর্ক

কি ধরনের ফিচারস যুক্ত হতে চলেছে?

“X” এবার থেকে হয়ে উঠবে চীনের উইচ্যাট (WeChat)-এর মত একটি সুপার অ্যাপ। শুধু তাই নয় “X” এ এবার এইআই প্রযুক্তিকেও কাজে লাগানো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অডিও, ভিডিও এবং মেসেজ পরিষেবার পাশাপাশি একটি ইন্ট্রোডাকশন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া “X” এর নতুন ভার্সনে উইচ্যাট এর মত ব্যাঙ্কিং এবং পেমেন্ট পরিষেবাও পাওয়া যাবে।

নতুন নাম নিয়ে প্রতিক্রিয়া

ইয়াক্বারিনোর টুইট অনুসারে “X” এর দৃষ্টিভঙ্গি হল ধারণা পণ্য পরিষেবা এবং সুযোগগুলোকে একত্র করে একটি বিশ্ব বাজার তৈরি করা। কিন্তু এরই মধ্যে ট্যুইটারে নাম পরিবর্তন (Twitter Name Change) নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। অনেক ট্যুইটার ব্যবহারকারী নতুন করে রাখা এই নাম পরিবর্তন এর জন্য দাবি করছেন। আবার একাংশের মতে “X” এর নতুন নাম হওয়া উচিত ছিল “Xers”। কেউ কেউ তো এই নামটিই রাখার পরামর্শ দিয়ে ফেলেছেন, ইলন মাস্ককে। তাদের মতে এই নামটিই বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। তবে ইলন মাস্ক জানিয়েছেন “X” অর্থাৎ কোনো নামহীন। তার মতে ” X” ব্যবহারকারীরা ব্যক্তি নামহীন হবে।

আরও পড়ুন -> Twitter vs Threads: টুইটারের নকল থ্রেডস? জুকারবার্গের বিরুদ্ধে আদালতে মাস্ক?

টুইটারের ভবিষ্যত “X”

এখন দেখার বিষয় এই যে নতুন এই “X” মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। “X” ও কি টুইটারের মতোই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবে? এছাড়াও প্রশ্ন রয়েছে পুরনো একাউন্ট গুলি নিয়ে। ট্যুইটারে যাদের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাদের কিভাবে পরিষেবা দেওয়া হবে? এরকম অনেক প্রশ্নই গ্রাহকদের মনে উঁকি দিচ্ছে। সেই সাথে নানা রকম বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। তবে যে কোনো নতুন কিছুতেই বিতর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন দেখার বিষয় এতসব বিতর্কের পরেও কত তাড়াতাড়ি সাফল্য পেতে পারে এই নতুন অ্যাপ “X”।


এই রকম আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *