Vitiligo Treatment: ‘শ্বেতি’ রোগ কিভাবে আটকাবেন ও কি চিকিৎসা করাবেন?

Vitiligo Treatment: ‘শ্বেতি’ রোগ কিভাবে আটকাবেন ও কি চিকিৎসা করাবেন?

শ্বেতী রোগ অনেক মানুষের মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়। কেন হয় এই রোগ? এই রোগের হাত থেকে কিভাবে মিলবে মুক্তি এবং শ্বেতির কি কি চিকিৎসা (Vitiligo Treatment) করা সম্ভব? এইসব প্রশ্নের উত্তর বেশির ভাগ মানুষের কাছেই সঠিক ভাবে জানা নেই।

এই রোগটি মারণ রোগের মত অত ভয়ঙ্কর বা মারাত্মক নয়। তবে শরীরে একবার এই শ্বেতি রোগ বাসা বাঁধলে, আস্তে আস্তে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। এই রোগের ফলে বহু মানুষ আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগতে থাকে।

শ্বেতী রোগের চিকিৎসা - Vitiligo Treatment
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা – Vitiligo Treatment

শ্বেতী রোগের কারণ (Causes of Vitiligo disease)

এই রোগ হওয়ার পেছনে আছে নানা কারণ। চলুন জেনে বিস্তারিতভাবে সেই কারণগুলি। মানবদেহের রং তৈরি করতে সাহায্য করে মেলানিন নামক একপ্রকার রঞ্জক পদার্থ। যখন মানবদেহে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বা অ্যান্টিবডি এই রং তৈরি করা কোষগুলোকে শরীরের শত্রু বলে মনে ধ্বংস করে ফেলে। ফলের দেহে স্বাভাবিক রং আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে থাকে। এর ফলে শ্বেতির মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ে মানবদেহে। এই রোগের ফলে শুধুমাত্র গায়ের রঙই না মাথার চুল এবং রোম পর্যন্ত সাদা হয়ে যায়। এই রোগের প্রভাব পড়ে মানুষের চোখের মনির উপরে।

ক্ষতিকর রাসায়নিক এর ব্যবহার

বিভিন্ন চিকিৎসকের মতে, বর্তমানে শ্বেতি হওয়ার পিছনে আরেকটি মূল কারণ হলো ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার। মানবদেহ অনেক সময় এইসব ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার সহ্য করতে পারে না ফলে দেখা দেয় শ্বেতির মত রোগ। অনেক মানুষই হেয়ার ডাই ব্যবহার করে থাকেন এক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধান হতে হবে। এতে অবস্থিত পি-ফেনিলেনেদিয়ামাইন বা পিপিডি শ্বেতি রোগের কারণ হতে পারে। এছাড়াও মানুষকে পারফিউম, ডিও, ক্ষতিকারক ক্রিম, সানস্ক্রিন, ডিটারজেন্ট এছাড়া করা অ্যান্টিসেপটিক থেকেও সাবধানে থাকতে হবে। এইসব জিনিস ব্যবহার করলে যে এই রোগ হবে এমনটা কারণ নয়, তবে যাদের ত্বক এই সব রাসায়নিক পদার্থের সাথে মানিয়ে নিতে পারবে না তাদেরই বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়।

কিভাবে আটকানো যাবে শ্বেতী, কি কি চিকিৎসাকরা যায়? - Vitiligo Prevention and Vitiligo Treatment
কিভাবে আটকানো যাবে শ্বেতী, কি কি চিকিৎসাকরা যায়? – Vitiligo Prevention and Vitiligo Treatment

কিভাবে আটকানো যাবে শ্বেতী, কি কি চিকিৎসা (Vitiligo Treatment) করা যায়?

শ্বেতী রোগ আটকানোর (Vitiligo Prevention) জন্য ওষুধ এবং অস্ত্রোপচার দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিয়েও শ্বেতী রোগের চিকিৎসা (Vitiligo Treatment) করা হয়। অনেক সময় ফটোথেরাপির মাধ্যমে কিংবা ওষুধ লাগিয়ে রোদে দাঁড়িয়ে যে জায়গাগুলো এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত সেই জায়গাগুলিতে অতি বেগুনি রশ্মি (UV Ray) লাগানোর কথা বলে থাকেন ডাক্তাররা। যখন ওষুধ খাওয়া বা লাগানোর পরেও এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না তখন চিকিৎসকরা স্কিন গ্রাফটিং এর সিদ্ধান্ত নেন। অনেক সময় এই রোগ আঙুলের ডগা ও ঠোঁটে লক্ষ্য করা যায়।

শ্বেতি হলে কি করনীয়?

শ্বেতি আছে এমন মানুষদের বেশিক্ষণ রোদ না লাগানোই ভালো। ডাক্তাররা অনেক সময় ভালো সানস্ক্রিম লাগানোর কথা বলে থাকেন। রোদে বেরোবার আগে অবশ্যই জামা কাপড় সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এমন জামাকাপড় পড়া উচিত যাতে রোদ সরাসরি গায় না লাগতে পারে। মানুষের সমস্যা অনেক সময় এই রোগের বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হতে পারে। তাই বিভিন্ন হরমোনজনিত চাপ এড়ানোর জন্য ধ্যান ও যোগাসনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। অনেক ব্যক্তির এই রোগের সাথে সাথে থাইরয়েড, এগজিমা, ডাইবেটিস, অ্যাজমা বিভিন্ন প্রকার অটোইমিউন জনিত ডিজিস যদি থাকে তাহলে এই রোগটি সম্পূর্ণরূপের সারানো সম্ভব হয় না।


শ্বেতী রোগের চিকিৎসা (Vitiligo Treatment) সম্বন্ধে আরো জানতে পড়ুন -> wikipedia.org/wiki/Vitiligo

বিস্তারিত জানতে অবশ্যই চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পেজগুলিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *