Chandrayaan 3: কিভাবে চাঁদে নামবে ভারতের মহাকাশযান? অবাক গোটা বিশ্ব

Chandrayaan 3: কিভাবে চাঁদে নামবে ভারতের মহাকাশযান? অবাক গোটা বিশ্ব

চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর সফল উৎক্ষেপণে অবাক পুরো পৃথিবী। চাঁদের মাটিতে অবতরণের জন্যে ভারত তথা ইসরোর এই মহাকাশযান বা রকেটকে আর কি কি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে?

চন্দ্রযানের ইতিহাস (History of Chandrayaan)

রহস্যময়ী চাঁদকে ঘিরে আমাদের কৌতূহল চিরকালীন। ১৯৬৯ সালে সর্বপ্রথম চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং। চন্দ্রযানের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখা যাবে ২০০৮ সালে ভারত চন্দ্রযান-১ মাধ্যমে চাঁদের কক্ষে প্রথম পৌঁছেছিল। এরপর ২০১৯ সালের ২২ শে জুলাই চন্দ্রযান-২ পাঠানো হয়েছিল বিভিন্ন প্রকার গবেষণামূলক কার্য সাধনের জন্য। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ১৪ ই জুলাই দুপুর ২ টো ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে।

Very first seconds of Chandrayaan 3 launch / চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণের শুরুর মুহূর্ত
Very first seconds of Chandrayaan 3 launch / চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণের শুরুর মুহূর্ত

চন্দ্রযান-৩ এর অংশগুলি (Modules of Chandrayaan 3)

চাঁদের উদ্দেশ্যে এই উৎক্ষেপণটি সম্পন্ন করার জন্য সাহায্য নেওয়া হয়েছে LVM 3 রকেটের। এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একটি ল্যাণ্ডার এবং একটি রোভার। চাঁদের মাটিতে অবতরণের জন্য সাহায্য করবে ল্যাণ্ডার এবং অবতরণের পর মাটিতে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করবে রোভার।

এই তৃতীয় চন্দ্রযানটির উদ্দেশ্য (Objective of Chandrayaan 3)

চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন দক্ষিণ অংশে বিশ্বের কোন দেশই চূড়ান্ত সফলভাবে গবেষণা করতে পারেনি এখনো পর্যন্ত। তবে রাশিয়া, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশের মহাকাশ যান অবতরণ সফল হয়েছে চাঁদের এই পৃষ্ঠে এবং পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার কাজও শুরু করে দিয়েছেন তারা। এবার ভারতের পালা অবতরণের ক্ষেত্রে। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)-এর আগে ২০১৯ সালের ভারত এবং ইজরায়েল শুরু করেছিল তাদের চন্দ্র যাত্রা। ইজরায়েলের মহাকাশযানটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল চাঁদের কক্ষে প্রবেশ করার সাথে সাথেই। আর ভারতের ল্যাণ্ডারটি অবতরণের পূর্ব মুহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এছাড়াও চন্দ্র অভিযানে ব্যর্থ হয়েছে জাপান, আমিরশাহির মত দেশও। তবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর এবারের লক্ষ্য গত ভুল ত্রুটি গুলি শুধরে সঠিকভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করা। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত গতিবেগ, ইলেকট্রনিক্স ভুলভ্রান্তি এবং সেন্সরের ব্যর্থতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইসরোর শুরু করেছে আজকের চন্দ্রাভিযান।

After successful launch of Chandrayaan-3 / চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণের পর
After successful launch of Chandrayaan-3 / চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণের পর

আরও পড়ুন -> ISRO RLV: পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট উৎক্ষেপণে বিরাট সাফল্য ভারতের

চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ প্রক্রিয়া (Chandrayaan 3 Landing Procedure)

চন্দ্রযান-৩ প্রায় ১৭৯ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর পর পৃথিবীর চারপাশে একটি কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এরপর ধীরে ধীরে তার কক্ষপথ টিকে বৃদ্ধি করবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এড়িয়ে এবং চাঁদের দিকে ছুটে চলার জন্য। এরপর চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছে চাঁদের আকর্ষণ সামলে নিয়ে ধীরে ধীরে চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছে পৌছবে। এর জন্য ধীরে ধীরে চন্দ্রযান তার কক্ষপথ ছোট করে আনবে। এরপরে চন্দ্রযান থেকে ল্যাণ্ডার বিচ্ছিন্ন হবে যার মধ্যে রয়েছে রোভার। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সময় নেবে ৪২ দিন। অর্থাৎ ১১ ই আগস্ট চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে ল্যাণ্ডার।

চন্দ্রপৃষ্ঠে গবেশনার উপজীব্য

পাঁচটি যন্ত্র সম্বলিত রোভারের মূল উদ্দেশ্য চন্দ্রপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডল, এবং এর প্রাকৃতিক চরিত্র বিশ্লেষণ করা। এছাড়াও চন্দ্রপৃষ্ঠের নিচে কি কি রয়েছে সেগুলি পর্যবেক্ষণ করাও রোভারের আরেকটি কাজ। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে চাঁদের আনুমানিক বয়স নির্ধারণ করার এক বিশেষ চেষ্টা করা হবে এই অভিযানের মাধ্যমে। ভারতসহ গোটা বিশ্ব এই অভিযানের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।


আরও পড়ুন -> Gold Seen From Space: অরণ্যে ছড়ানো টন টন সোনা, মহাকাশ থেকে দেখা ছবি

এই ধরনের আরও খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *