বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চ্যাট জিপিটি নিষিদ্ধ (ChatGPT banned) ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এর পেছনের কারণ বোঝার জন্যে জানতে হবে কয়েকটি কথা।
চ্যাট জিপিটির আবির্ভাব হয় গত বছর নভেম্বর মাসে। সাধারণত এই নতুন এআই টুলটি ব্যবহার করা হয় যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে। হোমওয়ার্ক করতে, বিভিন্ন লেখালেখির কাজে অর্থাৎ এক কথায় ছাত্রদের পক্ষে এটি একটি অতি সহজ উপায় ও প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে। চ্যাট জিপিটি ছাত্র-ছাত্রীদের এত বেশি সাহায্য করে যে শিক্ষাবিদদের কাছে এখন এটি একটি আতঙ্কের বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে।
সূচিপত্র (Table of Contents)
চ্যাট জিপিটির ব্যবহার চুরির সমান
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এই চ্যাট জিপিটির ব্যবহারকে চুরির সমান বলে ঘোষণা করেছে। তাই চ্যাট জিপিটি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ (ChatGPT banned) করা হয়েছে। এমনকি এটি ব্যবহার করলে চুরির সমান শাস্তি পর্যন্ত পেতে হবে। হংকং ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত এই চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষিদ্ধ করা ইউনিভার্সিটির তালিকায় হংকং ইউনিভার্সিটির নাম সর্বপ্রথম।
কি বলছে ইউনিভার্সিটি গুলো?
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চ্যাট জিপিটির ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয়। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী দুজনের পক্ষে চ্যাট জিপিটির ব্যবহার ক্ষতিকর। এই এআই সরঞ্জামটি ব্যবহার করা বেআইনি ও চুরির সমান শাস্তি পেতে হবে। চীনের হংকং ইউনিভার্সিটি প্রথম চ্যাট জিপিটি-তে নিষেধাজ্ঞা (ChatGPT banned) জারি করেছে। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা, ফ্রান্স, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের অনেক কলেজ ও ইউনিভার্সিটি। এমনকি ক্লাসের পড়া, অ্যাসাইনমেন্ট, অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই এআই (AI / Artificial Intelligence) টুলটি ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যবহারে নিতে হবে অনুমতি
শিক্ষার্থীর অবশ্যই এটি ব্যবহার করার সময় কোর্স শিক্ষক এর অনুমতি নিতে হবে। নাহলে এটি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গ্রাহ্য হবে। প্রতারণার নামে শাস্তি পেতে হবে। হংকং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা যারা চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে গণিত, কোড, কম্পোজিশন এবং থিসিস অ্যাসাইনমেন্ট করেছে, তাদের রীতিমতো পস্তাতে হচ্ছে।
চ্যাট জিপিটি কি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ? (Is ChatGPT completely banned?)
চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করা সম্ভব, তবে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ হোমওয়ার্ক শেষ করতে চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করতে পারবে না (ChatGPT banned for homework, assignments, research work etc.)। এর আগে, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ঝাং জিয়াং এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। তিনি ঘোষণা করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়টি এআই টুল এবং ডেটা সায়েন্সের বিকাশ এর ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নয়ন করবে। আজকাল আমেরিকার বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীরা হোমওয়ার্ক এবং অন্য কাজের ক্ষেত্রে এই চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করছে। বিশ্বের সর্বত্র যথেচ্ছভাবে এই নতুন টুল এখন ব্যবহার করা যাবে না।
চ্যাট জিপিটি / ChatGPT সম্বন্ধে আরো জানতে পড়ুন -> en.wikipedia.org/wiki/ChatGPT
এই সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত খবর জানতে চোখ রাখতে পারেন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পেজে।