Egyptian Civilization: মানব সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদান, আজও ব্যবহৃত হয় এগুলি

Egyptian Civilization: মানব সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদান, আজও ব্যবহৃত হয় এগুলি

Contributions of Egyptian civilization: মিশর, যাকে আমরা “ইজিপ্ট” বলে জানি। এই মিশরের নামটি শুনলেই মনে আসে সেখানকার ত্রিভুজাকার পিরামিড। তপ্ত বালির উপর ঠায় দাঁড়িয়ে আছে পিরামিডগুলি। মিশররের নাম আসলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নীল নদ। যার জলে সিক্ত হয়ে আজও গোটা মিশরটাই সাহারার বুকে বিলীন হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।

মিশর মানেই বালুকাময় ধূ ধূ করা সাহারা মরুভূমি। মিশর মানেই মমির দেশ, যার মাধ্যমে প্রিয়জনদের মৃতদেহকে ওষুধ মাখিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হয় বছরের পর বছর। হাজার হাজার বছর আগের সেদিনের কারিগরি বিদ্যার সাহায্যে তৈরি করা পিরামিডগুলি আজও মানুষের কাছে রহস্য।

মানব সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদান / Contributions of Egyptian civilization towards humanity

তবে শুধু পিরামিড বা মমিই নয়, আজও পাঠোদ্ধার করতে না পারা মিশরীয়দের হায়ারোগ্লিফিক অক্ষরগুলো আজও রহস্যে মোড়া। এর পাশাপাশি প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার (Egyptian civilization) মানুষেরা গোটা বিশ্বকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপহার দিয়েছে। আর সেই সব উপহারগুলি আজও মানুষের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ।

আর সেইসব জিনিসগুলি মানুষের জীবনে এতটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে মানুষ সেগুলি ছাড়া এক মুহূর্তও ভাবতেই পারে না। মিশরীয়দের তৈরি পিরামিড বা মনের ভাব প্রকাশের জন্য তৈরি হায়ারোগ্লিফিক লিপি কিংবা মৃতদেহ হাজার হাজার বছর ধরে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য মমি করে রাখার পদ্ধতিই জানান দেয় এত দিন আগেও মিশরীয় দের জীবন যাত্রা কতটা উন্নত ছিল।

Numerous contributions of Egyptian civilization towards humanity / মানবতার প্রতি মিশরীয় সভ্যতার অসংখ্য অবদান
Numerous contributions of Egyptian civilization towards humanity / মানবতার প্রতি মিশরীয় সভ্যতার অসংখ্য অবদান

তালা চাবির আবিষ্কার

কারিগরির দিক থেকে বলতে গেলে আজকের জীবনের সর্বক্ষণের জন্য ব্যবহৃত তালা চাবি সর্বপ্রথম প্রাচীন মিশরীয়রাই আবিষ্কার করেন। আরো আশ্চর্যের বিষয় এই যে তখনকার দিনে এই তালাগুলি তৈরি হতো কাঠ দিয়ে। আর তালার সাথে যে চাবি ব্যবহার করা হতো সেটা ছিল এক ধরনের পিনের মত। অর্থাৎ তালাচাবি আবিষ্কার না হলে বর্তমান পৃথিবী বেশ কিছু কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়ত। এই আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সেটা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুন -> Weird History: বিচিত্র পেশা, মানুষই মানুষের অ্যালার্ম ঘড়ি

গুড়ো দাঁতের মাজন আবিষ্কার

বর্তমান সময়ে খুব একটা ব্যবহার করা না হলেও মাত্র এক দশক আগেও মানুষ চুটিয়ে ব্যবহার করতেন গুড়ো দাতের মাজন। এই গুঁড়ো দাঁতের মাজনের আবিষ্কার কর্তা মিশরীয়রাই। তবে সেই গুরু রাতের মজা আজকের মত ছিল না। মিশরীয় সভ্যতায় (Egyptian civilization) মানুষেরা সর্বপ্রথম এক ধরনের দাঁত পরিষ্কার করার জন্য গুড়ো জাতীয় পাউডার ব্যবহার করত। সেটিকেই বিশ্বের প্রথম দন্তমঞ্জন বা মাজন বলে হয়। অবশ্য বর্তমানে আমরা দাঁত মাজার জন্য গাম বা টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি। এর থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায় যে প্রাচীন মিশর কতটা উন্নত ছিল।


এই রকম আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *