Generic Medicine: ওষুধের জেনেরিক নামই থাকবে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে, নইলে শাস্তি

Generic Medicine: ওষুধের জেনেরিক নামই থাকবে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে, নইলে শাস্তি

Generic medicine on Doctor’s prescription: আমাদের ভারতবর্ষ জনবহুল দেশ। তাই এখানে দারিদ্রতার মাত্রাও বেশি। রোগ হলে সবার ক্ষেত্রে দামি ওষুধ খাওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। কিন্তু রোগ যেমন বলে-কয়ে আসে না, তেমনই রোগ ধনী-দরিদ্র বিচার করে হয় না। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কোনও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে অনেকেই ওষুধের অভাবেই প্রাণ হারায়। তাই নয়াদিল্লি থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই ব্যাপারে কঠোর হয়েছেন। সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রক সাধারণের জন্য সম ব্রান্ডের কিন্তু জেনেরিক ওষুধ পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

“Generic Medicine” বা ওষুধের জেনেরিক নাম কি?

এনএমসি (ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন)-এর দ্বারা বারংবার বলা সত্ত্বেও ডাক্তারদের প্রেসকিপশনে ব্রান্ডের ওষুধের নাম লেখার পাশাপাশি জেনেরিক নাম লেখার এক অনিহা কাজ করত। এখন এই জেনেরিক নাম বাধ্যতামূলক করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই নির্দেশ ভঙ্গ করলে কড়া শাস্তি হতে পারে। এমনকি ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যেতে পারে।

ব্যবহারের নির্দেশিকা

ভারতবর্ষ থেকে ব্রান্ডেড থেকে জেনেরিক সবরকমের ওষুধই অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হয়। অ্যামেরিকা, ইউরোপ, ব্রাজিল ইত্যাদি প্রমুখ জায়গা থেকে বিশেষজ্ঞরা ভারতে এসে জেনেরিক ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে তা ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। বিদেশে এই জেনেরিক ওষুধের ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

"Generic Medicine" বা ওষুধের জেনেরিক নাম ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে না থাকলে কি ডাক্তাররা শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন?
“Generic Medicine” বা ওষুধের জেনেরিক নাম ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে না থাকলে কি ডাক্তাররা শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন?

“Generic Medicine” বা ওষুধের জেনেরিক নামের বাধ্যবাধকতা

২০১৩ সালে এই জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হলেও আমাদের দেশের রাজ্যের ও কেন্দ্রের হাসপাতাল গুলি পরিস্থিতির চাপে পড়ে জেনেরিক ওষুধের কম বেশি ব্যবহার করলেও, বেসরকারি হাসপাতালগুলি তার কোনো পরোয়া করে না। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিতে জেনেরিক ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যে অনেক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার দরুন পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।

যদিও সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলস্বরূপ এই জেনেরিক নাম লেখার নির্দেশিকা পুরোপুরি আয়ত্তে আনা যায়নি (এনএমসি)।

আরও পড়ুন -> Brain Tumor: ব্রেন টিউমার সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য — ব্রেন টিউমারের লক্ষণ ও চিকিৎসা

উদ্দেশ্য কি?

এনএমসি-এর এই পদক্ষেপ নেওয়ার একটাই লক্ষ্য যাতে সাধারণ থেকে উচ্চবিত্ত সব ধরনের রোগীরা যেন কম দামে ওষুধ গ্রহণ করে ভালো থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে “Generic Medicine” বা ওষুধের জেনেরিক নাম ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে থাকলে রোগী একই ফর্মুলা বা কম্পজিসনের ওষুধ কম দামেও কিনতে পারবে। তবে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে শুধু এক তরফা পদক্ষেপ নিলেই হবে না, এই উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য ডাক্তারদের এমনকি হাসপাতালের কতৃপক্ষের সহযোগিতা একান্ত ভাবে কাম্য।


এই ধরনের আরও খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *