খুব সহজে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে চান? তাহলে জেনে নিন এই পদ্ধতি গুলি

খুব সহজে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে চান? তাহলে জেনে নিন এই পদ্ধতি গুলি

বর্তমানে সুন্দর জীবন যাপন করার জন্য অর্থ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সকলেই চায় সৎ পথে খেটে ও অল্প সময় ব্যয়ে কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে। বর্তমানে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার অনেক উপায় আছে। কোন ব্যক্তি যদি একটু চেষ্টা করে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে কাজ করতে চান, তাহলে খুব সহজেই করতে পারেন। এর জন্য তাকে কোথাও যেতে হবে না। শুধু প্রয়োজন একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশনের।

অর্থ উপার্জনের সহজ উপায়

বর্তমানে অনলাইনে কিছুটা সময় অতিবাহিত করে বেশ ভালো অর্থ উপার্জন করা যায়। তার জন্য শুধু নিজের প্রতিভা টুকু খুঁজে বের করতে হবে। এরপর সেটির মাধ্যমে অনায়াসে অর্থ উপার্জন করা পারে। বর্তমানে অনলাইন উপার্জনের অনেক উপায় আছে। এর মধ্যে নিচে তিনটি সহজ সরল পদ্ধতি দেওয়া হলো। যেগুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটি বেছে নিয়ে, কাজ শুরু করে সহজে বাড়ি বসে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

১) ব্লগিং:

অনলাইনে উপার্জনের ক্ষেত্রে যার কথা সবার প্রথমেই বলা দরকার। ব্লগিং অর্থ রোজগারের একটি সহজ পদ্ধতি। ব্লগিং করার ক্ষেত্রে দুটো বিষয় মাথায় রাখার দরকার।
অ) কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার।
আ) লেখার ভাষা এবং পদ্ধতি দুটি উন্নতমানের হওয়া দরকার।

ব্লগিং শুরু করার পর অনেক রকমের সমস্যা বা বাধা আসতে পারে। কিন্তু মূল বিষয়ের উপর যদি যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সমস্যা অনেকটা কমে যায়। লেখার ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ মত যেকোনো বিষয় নির্বাচন করা যেতে পারে। সেটা রান্নাবান্না হতে পারে, ব্যবসা সংক্রান্ত হতে পারে, শিক্ষা সংক্রান্ত বা টেকনোলজি সংক্রান্তও হতে পারে।

আসল কথা হচ্ছে যে বিষয়টা সকলকে খুব ভালোভাবে বোঝাতে পারবেন, যেটা লেখার জন্য বেশি পরিশ্রম করতে হবে না এবং যারা লেখা পড়বেন তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর যেন দিতে পারেন, তেমন বিষয় নির্বাচন করা উচিত।

কিভাবে আপনি ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন?

বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি অন লাইনে ভাল উপার্জন করতে পারেন। অনেক অনলাইন অ্যাডভার্টাইজিং কোম্পানি আছে যাদের বিজ্ঞাপন আপনি আপনার ব্লগে দিয়ে উপার্জন করতে পারবেন।

আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংও করতে পারেন। এক্ষেত্রে অন্য কারোর জিনিস বিক্রি করার ক্ষেত্রে আপনাকে তাকে সাহায্য করতে হবে। আর যদি সেই জিনিস বিক্রি করার জন্য তার সাহায্য হয়ে থাকে, তাহলে আপনি প্রতিটি জিনিসের উপরে কমিশন পেতে পারেন।

আপনার ব্লগ একটু পরিচিতি পেতে আরম্ভ করলে অনেক ব্যবসায়ী তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করতে পারে, এগুলিকে বলে স্পনসর্ড পোস্ট। এর মাধ্যমেও আপনি ভাল উপার্জন করতে পারবেন।

২) ইউটিউব:

ইউটিউব সম্পর্কে জানে না এমন মানুষ বিরল। এই ওয়েবসাইটটি হলো বর্তমানে বিশ্বের সব থেকে ব্যবহারকারী ওয়েবসাইট গুলির মধ্যে তৃতীয়। প্রতিদিন এখানে নানান মানুষ নানান রকম ভিডিও দেখে থাকেন। আর এই ইউটিউব হলো সহজে টাকা উপার্জন করার একটি দারুন জায়গা। অনলাইনে কিছু লেখাকে বলা হয় ব্লগিং। আর ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করাকে বলা হয় ভ্লগিং।

ব্লগিং এর মতই এখানেও দুটি বিষয়ের উপর বিশেষ নজর রাখা জরুরী। সেগুলি হচ্ছে –
অ) বিষয়ের প্রতি দক্ষতা,
আ) বিষয়টি উপস্থাপন করার দক্ষতা।

উপস্থাপন করার অর্থ হলো কোন বিষয়কে সাজিয়ে গুছিয়ে অন্যের সামনে আকর্ষণীয় ভাবে মেলে ধরা। যাতে বিষয়টি জনসাধারণের ভালো লাগে। এতে বাচন ভঙ্গি ও অভিব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভিডিওর ক্ষেত্রে খরচা একটু বেশি হয়। কারণ ভিডিও বানানোর জন্য ক্যামেরা, স্ট্যান্ড, ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও মাইক্রোফোন দরকার পড়ে।

ইউটিউব থেকে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়?

গুগল এর দুটি প্রোডাক্ট হলো ইউটিউব আর অ্যাডসেন্স। প্রত্যেকটি ইউটিউবার এই অ্যাডসেন্স থেকে টাকা উপার্জন করে থাকেন। এখানে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার পর গুগল এডসেন্স থেকে মানিটরিংও করা যায়।

ইউটিউব চ্যানেল একবার পরিচিতি পেয়ে গেলে এখানেও অনেকে নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপন করার জন্য বলে থাকেন। এগুলোকে বলে স্পন্সরড ভিডিও।

আপনি যদি আপনার চ্যানেলে কোনরকম পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন তাহলে, সেই ভিডিওতে ওই পন্য কেনার জন্য দর্শকদের অনুরোধ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে একটি লিংক শেয়ার করতে হবে। যদি কেউ সেই লিংক থেকে কেউ পণ্যটি ক্রয় করে থাকে, তখন আপনি সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেয়ে যাবেন। এটিকে বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

৩) অনলাইন টিউশনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন:

অনলাইন কোর্স এমন একটি বিষয় যেখানে বাড়িতে বসে, খুবই কম খরচে যে কোন কোর্স করা যায়। তাই বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই এখন অনলাইন কোর্স করতে বেশি আগ্রহী।

আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন একটি বিষয়ে আগ্রহী হন, তাহলে এটি শেখার জন্য আপনাকে আর সেই জায়গায় গিয়ে শিখতে হবে না। আপনি বাড়িতে থেকেই সেটা শিখতে পারবেন ও পড়াশোনা করতে পারবেন। কোর্স শেষে সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন খুব সহজেই।

৪) অর্থ উপার্জন করতে কাজে লাগান নিজের প্রতিভা:

আপনি নিজের প্রতিভা অনুযায়ী অনলাইন থেকে অনেক উপার্জন করতে পারেন। প্রতিভা বলতে এখানে বলা হচ্ছে যে, ওয়েব ডিজাইনিং, ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, লিঙ্ক বিল্ডিং, লোগো ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলিং ইত্যাদি।

এছাড়াও অনলাইনে ইন্টারনেট মার্কেটিং এর চল এখন দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রতিটি মানুষ তার ব্যবসাকে অনলাইনে বাড়ানোর জন্যও বিশেষজ্ঞকে খুঁজে বেড়ান। কারণ সেই মানুষ যদি ব্যবসার সাথে সাথে সোশ্যাল মাধ্যেমে যদি অনেকখানি সময় ব্যয় করে, তাহলে সঠিকভাবে ব্যবসা করা যায় না। সেক্ষেত্রে যদি এরকম কোন বিশেষজ্ঞের সাহায্য পাওয়া যায়, তাহলে খুব সহজেই দুটো দিকই সামলানো যায়। আর এই কাজটিও বাড়িতে বসে যথেষ্ট টাকা উপার্জনের একটি সহজ সরল মাধ্যম।

৫) অনলাইন ব্যবসা:

বর্তমানে আরেকটি জিনিসের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সেটি হল অনলাইন ব্যবসা। অনেকে নিজের হাতে তৈরি পন্য বিক্রি ছাড়াও অন্যের তৈরি পণ্য রিসেলিং করার জন্যও অনলাইন মাধ্যমকে বেছে নিচ্ছেন। আর এর মাধ্যমে সহজেই ব্যবসা করে ভালো উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে।

সর্বোপরি যে কোনো কাজে নামার আগে সেই কাজের অনুকূল এবং প্রতিকূল উভয় দিকই ভালো ভাবে জেনে এবং বুঝে নেওয়া উচিত। তবে ধৈর্য, অধ্যাবসায় এবং জেদকে পাথেয় করেই জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হয়।

এই রকম আরো ব্যবসায়িক আইডিয়া পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *