Kolkata Metro Ticket History: মেট্রো টিকিটের বিবর্তন নিয়ে প্রদর্শনী

Kolkata Metro Ticket History: মেট্রো টিকিটের বিবর্তন নিয়ে প্রদর্শনী

পিচবোর্ডের তৈরি নকশা করা কার্ড দিয়ে মেট্রো শুরু করেছিল তার যাত্রা, বর্তমানে মেট্রোর টিকিট অনেক উন্নত এবং অভিনব। মেট্রোরেলের উদ্যোগে এই চার দশকের বিবর্তনকে প্রদর্শনী হিসেবে তুলে ধরতে চায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাই কলকাতা মেট্রো টিকিটের এই বিবর্তন (Kolkata Metro Ticket History) নিয়ে বিভিন্ন ব্যস্ত স্টেশনে দেখা যাবে প্রদর্শনী। আসুন জেনে নিই মেট্রোর টিকিটের এই যাত্রা।

স্মার্ট টিকিট

বর্তমান ব্যস্ততার মধ্যে মানুষকে আর লম্বা লাইন দিয়ে মেট্রোর টিকিট কাটতে হবে না কিংবা স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করতে হবে না। ঘরে বসেই এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবে সাধারণ জনগণ। ইস্ট- ওয়েস্ট মেট্রোর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কিউআর কোড স্ক্যান করেই মেট্রোতে উঠে পড়তে পারবে যাত্রীরা। দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত যে ব্লু লাইন সেখানেও এই ধরনের কিউআর কোড পরিষেবা শীঘ্রই চালু হতে চলেছে সাধারণ জনগণের জন্য। এই নিয়ে মোট পাঁচ ধরনের টিকিট সিস্টেমের বিবর্তন দেখলো গোটা শহরবাসী।

একনজরে কলকাতা মেট্রো টিকিটের ইতিহাস / Kolkata Metro Ticket History

ইতিহাসের পাতা উল্টালে আমরা দেখতে পাবো কলকাতাবাসী প্রথম মেট্রোরেলের সাক্ষী হয়েছিল সেই ১৯৮৪ সালে। প্রথমে কলকাতা মেট্রো রেল প্রিন্টেড কার্ড দিয়ে টিকিটের যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল যুগে যাত্রীরা ঘরে বসে অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারবে। গোটা কলকাতাবাসীর সামনে মেট্রোরেলের উদ্যোগে ৩৯ বছরের এই বিবর্তনকে প্রদর্শনীর (Exhibition on Kolkata Metro Ticket History) মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।

১৯৮৪ সালে পিচবোর্ডের প্রিন্টেড কার্ড দিয়ে যে টিকিটের যাত্রা শুরু হয়েছিল তা ১২ বছর বাদে পরিবর্তনের মাধ্যমে হয় ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ টিকিট ও টার্নস্টাইল গেট। তবে ২০১১ সালের পর থেকে শুরু হয় স্মার্ট কার্ড বা টোকেন সিস্টেম। এরপর আসে কিউ আর কোড সুবিধা। বর্তমানে মেট্রো অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যস্থলের টিকিট কেটে নিতে পারেন। তবে দেশের অন্য কোন রাজ্যে টিকিটের এত বিবর্তন হয়নি।

পিচবোর্ডের প্রিন্টেড কার্ড থেকে স্মার্ট কার্ড ও কিউ আর কোড পর্যন্ত কলকাতা মেট্রোর ইতিহাস / Kolkata Metro Ticket History from Cardboard Ticket to Smart Card and QR Code
পিচবোর্ডের প্রিন্টেড কার্ড থেকে স্মার্ট কার্ড ও কিউ আর কোড পর্যন্ত কলকাতা মেট্রো টিকিটের ইতিহাস
Kolkata Metro Ticket History from Cardboard Ticket to Smart Card and QR Code

কিভাবে এলো এই বিবর্তন?

১৯৮৪ থেকে ১৯৯৬

শুরুর ১২ বছর, অর্থাৎ ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পিচবোর্ডের প্রিন্টেড কার্ডই ছিল কলকাতা মেট্রোর টিকিট।

১৯৯৬ থেকে ২০১১

১৯৯০ সাল থেকে তোড়জোড় শুরু হলেও ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ টিকিট প্রথম চালু হয় ১৯৯৬ সালে। ট্রান্সস্টাইল গেট বসানোর কাজও তখন থেকে শুরু হয়েছিল মেট্রো স্টেশন গুলিতে। টিকিটের এক দিক ছিল রঙিন এবং ওপর উল্টো দিকের সাদা অংশে চৌম্বক স্ট্রিপ বসানো ছিল। এই টিকিট এই টার্নস্টাইল গেটে ‘পাঞ্চ’ করলেই যাত্রীরা ঢুকে পড়তে পারতো প্ল্যাটফর্মে। এই একই পদ্ধতি ২০১১ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ বছর ধরে জারি ছিল। এছাড়া ১৫ বছরে কলকাতা মেট্রোর যাত্রীসংখ্যাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছিল।

২০১১ থেকে ২০২১

তবে ২০১১ সালে বিবর্তনের মাধ্যমে এলো টোকেন ও স্মার্ট কার্ড ব্যবস্থা। টার্নস্টাইল গেটের বদলে মেট্রো স্টেশনগুলিতে বসল অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন গেট। এই পরিষেবা এখনও চালু রয়েছে কলকাতার মেট্রো রেলে।

২০২১ এর পর

তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিউ আর কোড এর সুবিধা। অর্থাৎ টোকেন কাটা কিংবা স্মার্ট কার্ড রিচার্জ়ের ঝামেলা আর নেই। এই অভিনব পরিষেবা চালু হয় করোনা পরিস্থিতির পর ২০২১ সালে। ২০২২ সালে মেট্রোতে আবার আসে বিবর্তন এবং তা হল মেট্রো রাইড অ্যাপ। আর বর্তমান সময়ে আপনি ঘরে বসেই আপনার গন্তব্যস্থলের টিকিট খুব সহজেই কাটতে পারবেন।

মেট্রোর উদ্যোগে প্রদর্শনী

ভারতের অন্য কোনো রাজ্যের মেট্রো টিকিটে এত পরিবর্তন মানুষ দেখেনি। প্রায় চার দশকের এই বিবর্তনকে কলকাতাবাসীর সামনে তুলে ধরতে প্রস্তুত কলকাতা মেট্রো রেল। তাই কলকাতার ব্যস্ত স্টেশনগুলিতে করা হবে এই প্রদর্শনী ব্যবস্থা (Exhibition on Kolkata Metro Ticket History)। তবে কবে এই প্রদর্শনী করা হবে এবং কোন কোন স্টেশনে করা হবে সেই সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি মেট্রোরেলের পক্ষ থেকে।


কলকাতা মেট্রোর ইতিহাস (Kolkata Metro History) বা কলকাতা মেট্রো টিকিটের ইতিহাস (Kolkata Metro Ticket History) সম্বন্ধে আরো জানতে পড়ুন এই উইকিপিডিয়ার পাতাটি

এই ধরনের খবর ও বিভিন্ন রকম তথ্য পেতে আপনাকে অবশ্যই ফলো করতে হবে বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পেজগুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *