Sharda Peeth: ভক্তদের জন্য PoK তে “সারদা পিঠ” করিডোর খোলা হচ্ছে

Sharda Peeth: ভক্তদের জন্য PoK তে “সারদা পিঠ” করিডোর খোলা হচ্ছে

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার কর্তারপুর করিডরের আদলে সারদা পীঠ (Sharda Peeth) খোলার জন্য উদ্যোগ নেবে। কোথায় এই “সারদা পীঠ”? এই সারদা পীঠ হিন্দুদের কাছে একটি অতি পবিত্র ধর্মীয় স্থান। এই পবিত্র পিঠস্থানটি নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর জম্মু ও কাশ্মীরের কুপোয়ারা জেলার তেতওয়াল গ্রাম জুড়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (Pakistan Occupied Kashmir / PoK) নীলাম উপত্যকায় অবস্থিত।

কি বলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও “সেভ সারদা কমিটি” (Save Sharda Committee) কাশ্মীরের আহ্বায়ক রবীন্দ্র পণ্ডিতের সাথে আলাপ-আলোচনার পর তার একটি পরামর্শ এর কথা তুলে ধরেছেন। তার মতে, সারদা পীঠ করিডরকে পাকিস্তানের কর্তারপুর করিডর এবং নানকানা সাহেব গুরুদ্বারার আদলে খুলে দেওয়া উচিত।

সারদা পীঠ (Sharda Peeth) এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব

অমিত শাহ মন্তব্য করেছেন যে, সারদা পীঠ হল ভারতের ধর্ম শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি সুন্দর মিলনস্থল। যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভক্তবৃন্দের জন্য কর্তারপুর করিডর এর মতই সারদা পীঠ করিডোর (Sharda Peeth Corridor) খুলে দেবার সম্পূর্ণ চেষ্টা করবে, এমনটাই খবর।

অমিত শাহ: "সারদা পীঠ (Sharda Peeth) হল ভারতের ধর্ম শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি সুন্দর মিলনস্থল।"
অমিত শাহ: “সারদা পীঠ (Sharda Peeth) হল ভারতের ধর্ম শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি সুন্দর মিলনস্থল।”

ঐতিহ্যপূর্ণ ধর্মীয় স্থানগুলিতে ভিসা-মুক্ত তীর্থযাত্রা

কর্তারপুর করিডরটি ২০১৯ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই স্থানে আছে দুটো গুরুত্বপূর্ণ শিখ উপাসনালয়। প্রথমটি হল পাকিস্তানের কর্তারপুরের গুরুদ্বারা দরবার সাহিব এবং আরেকটি হলো পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক। এই সংযোগস্থল হল তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানে তাদের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। সারদা পিঠ করিডোর (Sharda Peeth Corridor) এর ক্ষেত্রেও সরকারের একই চিন্তাভাবনা রয়েছে।

এই পীঠের পুনঃনির্মাণ?

সারদা সভ্যতার আবিষ্কার এবং সারদা সভ্যতার লিপির প্রচার একমাত্র সম্ভব এই সারদা পিঠের পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে। সত্যিই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কোন এক সময় এই স্থানকে ভারতের বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী পন্ডিতেরা ধর্মগ্রন্থ ও আধ্যাত্মিক পাঠের কেন্দ্রস্থান বলে মনে করতেন। জ্ঞানের সন্ধানে বহু দূর থেকে পন্ডিতেরা এখানে আসতেন। এই পীঠ খুলে যাওয়ার ফলে জম্মু ও কাশ্মীর তার পুরনো সভ্যতা ও সংস্কৃতি আবার ফিরে পাবে।

সারদা দেবী মন্দিরের উদ্বোধন

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার কাশ্মীরের কুপওয়ারার সারদা দেবী মন্দিরের উদ্বোধন করেন। তিনি আরো বলেন যে এই পীঠের স্থাপত্য ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে সম্পূর্ণ পৌরাণিক শাস্ত্রকে মাথায় রেখে। ২৪ শে জানুয়ারি শৃঙ্গেরী মঠ দ্বারা সারদা মায়ের মূর্তিটি দান করা হয়েছিল।

সরকারের উদ্যোগ

বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় মোট ১২৩ টি ধর্মীয় এবং সুফি স্থান পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। প্রথম পর্যায়ে যে ৩৫ টি ধর্মীয় স্থান মেরামতের কাজ চলেছে তাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। এছাড়াও, একত্রিশটিরও বেশি মেগা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ৭১ টি ধর্মীয় ও সুফি সাধকদের স্থান চিহ্নিত করে। এই পুনরুদ্ধার এর ফলে পুরোনো হারিয়ে যাওয়া ধর্ম ও সংস্কৃতি ও শিক্ষা আবার ফিরে আসতে চলেছে। সারদা পিঠ করিডোর (Sharda Peeth Corridor) খোলার মাধ্যমে সরকার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস পুনরুদ্ধার করতে চাইছে।


সারদা পিঠ করিডোর (Sharda Peeth Corridor) সম্বন্ধে আরো জানতে পড়ুন উইকিপিডিয়ার এই পাতাটি

এই ধরনের আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *