পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে ২০২৩ এর সবচেয়ে ভয়ংকর সৌর ঝড় (Solar Storm 2023)। বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই জানিয়েছেন যে, সূর্যের গায়ে দেখা দিয়েছে কালো রঙের গর্ত। সেই গর্ত পৃথিবী থেকে প্রায় ২০ গুন বড়। সূর্যের সেই দক্ষিণ গোলার্ধের অঞ্চল থেকে জন্ম নেয় শক্তিশালী সৌরশিখা। কিন্তু এই সৌরশিখার রেশ এবার পড়তে চলেছে পৃথিবীতে, আর তাই নিয়ে বিজ্ঞানীদের যত আশঙ্কা।
সূচিপত্র (Table of Contents)
“করোনল হোল” বা সূর্যের বিশাল গর্ত
এই শক্তিশালী সৌরশিখার প্রভাব পড়তে চলেছে বায়ুমণ্ডলের আয়নে। এই প্রভাবের ফলে পৃথিবীতে হতে পারে রেডিও ব্ল্যাকআউট। বিজ্ঞানীদের মতে শুক্রবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে চলেছে ২০২৩ এর অন্যতম ভয়ংকর এই সৌর ঝড় (Solar Storm 2023), যার প্রভাব হবে সুদূর প্রসারী। এই বিশাল গর্ত প্রথম আবিষ্কার করে আমেরিকার মহাকাশ গবেষককারী সংস্থা নাসা। এই গর্তের নাম দেওয়া হয়েছে করোনল হোল। সূর্যের একটি বিশাল অংশ অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ফলেই দেখা দিয়েছে এই গর্ত।
২০২৩ এর ভয়ংকরতম সৌর ঝড়ের (Solar Storm 2023) উৎস এবং ক্ষয়ক্ষতি
যে প্রভাবশালী সৌরঝড় পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে তার উৎস হল সূর্যের এই গর্ত “করোনল হোল”। এই ঝড়ের গতিবেগ ২৯,০০০,০০ কি.মি প্রতি ঘণ্টায়। শুক্রবার পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে এই সৌরঝড়। নিউ মেক্সিকো, আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্ত এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে এই রঙিন মেরুজ্যোতি দেখা যায়। মনে করা হচ্ছে যে, সৌর ঝড়ের প্রভাবে সাময়িকভাবে অচল হয়ে যেতে পারে ইন্টারনেট পরিষেবা, স্যাটেলাইট মাধ্যম, এবং টেলিফোন নেটওয়ার্ক। ক্ষতিকর রেডিয়েশনের ফলেও নানারকম ক্ষতি হয়ে থাকে।
কি বলছে নাসার বিজ্ঞানীরা?
২৩ শে মার্চ থেকে ২৫ শে মার্চ এর মধ্যে এই সৌর ঝড় পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীরা অনুমান করতে পারেননি, এত শীঘ্র এই প্রভাবশালী সৌরঝড় পৃথিবীতে এগিয়ে আসবে। নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, সৌর জ্বালা একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ। এই সৌর বিস্ফোরণের ফলে বৈদ্যুতিক পাওয়ার গ্রিড, নেভিগেশন সিগন্যাল এবং রেডিও যোগাযোগের মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়। সৌর বিস্ফোরণ মহাকাশযান এবং মহাকাশচারীদের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। নাসার মতে, সূর্যের এই সৌরশিখার তীব্র প্রভাব সৌরমণ্ডলের সমস্ত গ্রহ-উপগ্রহর উপরেই পড়তে চলেছে। তবে বিস্তারিত তথ্য জানার ওপর জোর দিয়েছে নাসা।
সূর্যের ক্রিয়াকলাপ
চলতি বছরে তিন মাসের মধ্যেই সূর্য থেকে এই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেছে মোট সাতবার। বিগত ২০২২ সালে সূর্য থেকে মোট যে রশ্মি বেরিয়েছে তার সমান হল এই বিস্ফোরণ। এই সৌর বিস্ফোরণ ইঙ্গিত দেয় যে, সূর্য তার সৌর ক্রিয়াকলাপ এর শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে, যার ফলে তার কার্যকলাব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৮৯ সালে পৃথিবীতে এরকম একটি সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল, যার তীব্র প্রভাব পড়েছিল কানাডাতে। এর ফলে কানাডাতে টানা নয় ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পৃথিবীকে রক্ষা করবে এই সৌরঝড় থেকে।
সৌর ঝড় (Solar Storm) সম্বন্ধে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন এই উইকিপিডিয়ার পাতাটি।
এই ধরনের খবর জানতে গেলে আপনাকে অবশ্যই চোখ রাখতে হবে বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।