Uric Acid Food Chart: ইউরিক অ্যাসিড মানেই খাবারের তালিকায় কাটছাঁট; কিভাবে পাবেন মুক্তি?

Uric Acid Food Chart: ইউরিক অ্যাসিড মানেই খাবারের তালিকায় কাটছাঁট; কিভাবে পাবেন মুক্তি?

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেই অনেক প্রিয় খাবারই আমাদের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ হয়ে যায়। টমেটো, মুসুরির ডাল এবং অন্যান্য আরো খাবার না ছুঁয়ে দেখাই ভালো। জেনে নিন কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন ইউরিক অ্যাসিড ও খাওয়া দাওয়া কেমন করবেন (Uric acid food chart)।

ভাবছেন এই সমস্যা শুধুই আপনার একার? বিশ্বের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ আজ ইউরিক অ্যাসিডের মত রোগে ভুগছে। বহু মানুষ শরীরে ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমাণ বেড়ে গেলেও তা বুঝতে পারেন না।

ইউরিক অ্যাসিড ব্যথার স্থান - Uric acid pain area
ইউরিক অ্যাসিড ব্যথার স্থান – Uric acid pain area

কেন হয় ইউরিক অ্যাসিড? (What causes uric acid)

ইউরিক অ্যাসিড শরীরে তৈরি হওয়ার প্রধান কারণ হলো বিপাকীয় ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরে পিউরিন তৈরি হওয়া। অতিরিক্ত রেড মিট, অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার বা তেলযুক্ত মাছ বেশি খাওয়া, মদ্যপান, শুয়ে-বসে থাকা এবং চলাচল বা ব্যায়াম কম করার কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমতে শুরু করে। এর ফলে গাঁটে ব্যথা, পা ফোলা ইত্যাদি রোগ আরো বৃদ্ধি পেয়ে যায়। এর থেকে কিডনিতে পাথর পর্যন্ত জমতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ (Uric acid symptoms)

ইউরিক অ্যাসিডের প্রধান লক্ষণই হল গোড়ালি ফুলে যাওয়া, পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে ব্যাথা ও গাঁটে ব্যথা। যখন ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায় তখনই ডাক্তারের দ্বারস্থ হতে হয়।

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে কি খাবেন এবং কি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন - Uric acid food to eat and food to avoid
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে কি খাবেন এবং কি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন – Uric acid food to eat and food to avoid

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কি কি খাওয়া বন্ধ করবেন? (Uric acid – Food to avoid)

যদি আপনি ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে খাওয়া দাওয়ার প্রতি যত্নবান হতে হবে। মাংস, মূলতঃ খাসির মাংস বা কোনো রেড মীট খাওয়া একদমই চলবে না। রেড মীট থেকে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। এছাড়া অতিরিক্ত তেলযুক্ত মাছ, অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও মাংসের গিলে-মেটে খাওয়া চলবে না। ডাল, ডালজাতীয় খাবার, ছোলা, মটর, রাজমা, শিম, টমেটো খাওয়া কমাতে হবে। উপরোক্ত খাবারগুলি আরও বেশি ক্ষতিকর হয়ে ওঠে যদি কোনো ব্যাক্তি মদ্যপান করেন বা দিনে বেশিরভাগ সময় শুয়ে-বসে কাটান এবং চলাচল বা ব্যায়াম কম করেন।

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কি কি খাবেন ও কতক্ষন ব্যায়াম করবেন? (Uric acid food chart & importance of exercise)

আয়ুর্বেদিক ভেষজ গিলয়ের সেবনের দ্বারা এই রোগ থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত কি সেটাও জেনে নেওয়া দরকার। এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি নিয়ম অবশ্যই পালন করা উচিত।

  • নিয়মিত কমপক্ষে পঁয়তাল্লিশ মিনিট ব্যায়াম করুন
  • প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন
  • শাক-সবজি বেশি করে খান
  • ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খান
  • এছাড়া পাতিলেবুর রস ও আপেল সাইডার ভিনিগার ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে থাকে

তবে বিপাকীয় হারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ইউরিক অ্যাসিড এর মাত্রা কমতে থাকবে। শুয়ে-বসে থাকা কমাতে হবে এবং হাঁটাচলা অবশ্যই বাড়াতে হবে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

অনেক বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, আপনি যদি আয়ুর্বেদিক ওষুধের দ্বারা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে চান, তাহলে নিয়মিত ব্যায়াম করা, প্রচুর পরিমাণে জল পান ও শাক-সবজি বেশি করে খাওয়ার পাশাপাশি ভেষজ গিলয় হলো সবথেকে বড় সমস্যার সমাধান। বিভিন্ন গবেষণার দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে যে, গিলয়ের কাণ্ডের রস এই রোগের পক্ষে খুব উপকারী। গিলয় শরীরে উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।

কিভাবে করবেন গিলয় এর ব্যবহার? (Uric acid – Usage of Giloy)

গিলয় এর ব্যবহারে ইউরিক অ্যাসিড কমে যায় এ কথা সত্য, কিন্তু ব্যবহার কিভাবে করবেন সেটা অনেকেই জানেন না। এর কান্ড থেকে পাতা সবকিছু স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। গিলয় এর ডাল ও পাতা সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরেরদিন সকালবেলা মিশ্রণটিকে ভালোভাবে ফোটাবেন, এমনকি অর্ধেক হওয়া পর্যন্ত মিশ্রণটিকে ফোটাতে হবে। তারপরে ছেঁকে মিশ্রণটি পান করুন। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে আনতে এর জুড়ি মেলা ভার। বাজারে গিলয় এর ট্যাবলেট ও পাউডারও পাওয়া যায়। কোন জুসের সাথে মিশিয়েও আপনি এটা খেতে পারেন।


ইউরিক অ্যাসিড (Uric acid) সম্বন্ধে বাংলায় জানুন। দেখুন উইকিপিডিয়ার এই পাতাটি

এই সংক্রান্ত আরো খবর পেতে অবশ্যই চোখ রাখবেন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *