Lithium Reserves in India: ভারতের লিথিয়ামের ভান্ডারে চীনের কতটা ক্ষতি, আমেরিকার কতটা লাভ?

Lithium Reserves in India: ভারতের লিথিয়ামের ভান্ডারে চীনের কতটা ক্ষতি, আমেরিকার কতটা লাভ?

ভারত এবং চীনের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই বহুদিনের। সম্প্রতি ভারতের কাশ্মীরে পাওয়া গেছে লিথিয়ামের অফুরন্ত ভান্ডার (Lithium reserves in India’s J&K), তাতেই কি ক্ষতি হবে চীনের? এই লিথিয়াম এর ফলে আদৌ কি লাভবান হবে সাধারন মানুষ? ভারতের অর্থনীতি কিভাবে আরো মজবুত হবে? এসবই বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

ভারত হলো লিথিয়ামের ভান্ডার (Lithium reserves in India is huge)

বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের অর্থনীতি এবার গগনচুম্বি হবে। কেন বলেছেন তারা এরকম? ভারতের কাশ্মীরে হিমালয়ের গর্ভে রয়েছে লিথিয়ামের মতো অমূল্য খনিজ সম্পদ। প্রায় ৫৯ লক্ষ টন লিথিয়ামের সন্ধান পেয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু এতে চীনের ক্ষতি বা কি হবে? আর ভারতের লাভ কেন হবে? অনেক বিশেষজ্ঞদের মধ্যেই এখন আলোচ্য বিষয় হলো, ভারতের লিথিয়ামের ভান্ডার হয়তো চীনের অর্থনীতি ডুবিয়ে দিতে পারে। এর ফলে বিভিন্ন ক্লাইন্টরা ঝুঁকে যাবে ভারতের দিকে, যা চীনের পক্ষে কখনোই লাভবান হবে না।

চীনের থেকেও অনেক গুণ বেশি লিথিয়াম আছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে / Lithium reserves in India's J&K has many times more lithium than China
চীনের থেকেও অনেক গুণ বেশি লিথিয়াম আছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে / Lithium reserves in India’s J&K has many times more lithium than China

কি কাজে লাগবে এই লিথিয়াম?

বিশ্বের মধ্যে লিথিয়াম এর ভান্ডারে দিক থেকে এগিয়ে আছে চিলি। চিলিতে আছে ৯৩ লক্ষ টন লিথিয়াম। ভারতের কাশ্মীরের এত বিপুল সংখ্যক লিথিয়াম আবিষ্কার হওয়ার ফলে ভারত এখন তৃতীয় স্থানে। এরপর বিশ্বজুড়ে শুরু হবে ধাতু নিয়ে যুদ্ধ। জ্বালানি তেল নিয়ে দ্বন্দ্ব এবার পুরোপুরি অতীত। এই অমূল্যবান লিথিয়াম কোন কাজে লাগে আপনারা কি আদৌ জানেন? লিথিয়াম থেকে তৈরি হয় ব্যাটারি, যাকে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বলে সবাই জানে। বিভিন্ন দেশের মত আমেরিকাও কিন্তু লিথিয়াম আমদানি করে। ইলেকট্রনিক গাড়ি থেকে শুরু করে দামি স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ সবেরই হৃদপিণ্ড হলো এই লিথিয়াম ব্যাটারি।

ভারত কিভাবে পেল জ্যাকপট? (Lithium reserves in India is a jackpot)

ভারত এখন লিথিয়ামের ভান্ডার কিন্তু তাতে ভারত কিভাবে লাভবান হয়েছে? ভারতের আগে চিন ছিল এই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির সবথেকে বড় বিক্রেতা। বলা যেতে পারে বিশ্বজুড়ে চীন তথা বেজিং এতদিন ধরে এই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তৈরি করার মার্কেটটি ধরে রেখেছিল। তবে চীনের থেকেও অনেক গুণ বেশি লিথিয়াম আছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে (Lithium reserves in India’s J&K is much bigger than that of China)।

এভাবেই ভারত ছিনিয়ে নেবে বেজিং এর আধিপত্য – এমনটাই দাবী বিশেষজ্ঞদের। ভারতের ৯৬ শতাংশ লিথিয়াম আমদানি করা হয়, যার মধ্যে চীন ৮০ শতাংশ লিথিয়াম বিক্রি করে নয়া দিল্লির কাছে। এই আমদানির ফলে প্রচুর বিদেশী অর্থ খরচ হয় ভারতের। গত দুই আর্থিক বর্ষে ভারত এই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি কিনতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে।

আমেরিকার অভিনব কৌশল

এতদিন চীন যে পরিমাণে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বিক্রি করতো তার থেকে অনেক বেশি করার ক্ষমতা আছে এখন ভারতের। তাই যেই মুহূর্তেই খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে প্রচুর পরিমাণে লিথিয়ামের ভান্ডার (Lithium Reserves in India’s J&K) রয়েছে সেই মুহূর্তে আমেরিকার টপ এনার্জি অফিশিয়ালরা ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের শুধুমাত্র খনির সন্ধান পাওয়া গেছে এখনো মাইনিং করা শুরু হয়নি। আমেরিকাতে নেই কোন লিথিয়ামের ভান্ডার, তাই আমেরিকার বড় বড় কোম্পানি টেসলা, জি ই মটরস সব সময় লিথিয়াম আমদানি করে থাকে। এর পরিমাণ কখনো ৫০ শতাংশ আবার কখনো ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

ভারতের সাথে কি কোন চুক্তি হতে চলেছে আমেরিকার?

আমেরিকা প্রতি মুহূর্তে সন্ধান করে চলেছে লিথিয়ামের নতুন বিকল্প ভান্ডার। তাই ভারতের লিথিয়ামের খনির সন্ধান আমেরিকার কাছে একটি বড় পাওনা। সাম্প্রতিক কালে ভারতের সাথে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব এক্ষেত্রে আমেরিকার কাজে লাগবে। এই লিথিয়ামকে কাজে লাগিয়ে ভারতের অর্থনীতির আরো মজবুত হবে। এরপর ভারত নিজেই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তৈরি করে এক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হতে পারবে এবং এর ফলে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) এর প্রচলন আরো বৃদ্ধি পাবে। এবার শুধুই অপেক্ষা চীনের পদক্ষেপের, সে কোন নীতি অবলম্বন করবে কূটনীতি নাকি বাণিজ্য নীতি।


এই বিষয়ে ভারত সরকারের জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রেস রিলিজ -> pib.gov.in/PressRelease….1897799

এই সংক্রান্ত আরো খবর পেতে অবশ্যই চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পেজগুলিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *