গতকালের তুলনায় আরও একটু নেমে গিয়ে স্বাভাবিকের নিচে নামলো কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলের দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামীকাল থেকে একটু একটু করে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কথা রয়েছে। তাহলে কি শীতের মজা আর দীর্ঘস্থায়ী নয়? আগামী শুক্র শনি রবি ও সোমবার, এই চার দিনে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চার ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তবে তার আগে গত কয়েকদিনে বেশ ভালোই ভেলকি দেখালো তাপমাত্রা।
২০২২ তো প্রায় শেষ হতে চলল। আসতে চলেছে আরো একটি নতুন বছর। কিন্তু ২০২২ এ কি আর কনকনে শীতের দেখা মিলবে না? বড়দিন ঘাড়ের উপর এসে নিঃশ্বাস ফেলছে। তবে আবহাওয়া দপ্তরের যা পূর্বাভাস তাতে রাজ্যবাসীর কাছে আশাব্যঞ্জক কিছুই নেই। আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়েছে এবারের বড়দিন উষ্ণ হয়ে যেতে পারে। তবে তার আগে আজ বৃহস্পতিবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য নিচে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
সেই সাথে রাজ্যজুড়ে দেখা গেছে শীতকালীন কুয়াশার দাপট। বিশেষত মালদা এবং দুই দিনাজপুরে কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা ১০০ মিটারের নীচে নেমে এসেছে। কলকাতার উষ্ণতা স্বাভাবিক থাকলেও দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলা গুলির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় 1 থেকে 2 ডিগ্রি কম। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে সকালের দিকে বেশ ভালোই শীতকালীন কুয়াশার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশ পরিষ্কার হয়ে ঝকঝকে রোদ্দুর উঠবে। গোটা রাজ্যে কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই, তবে সকালের দিকে সামান্য মেঘলা আকাশ থাকতে পারে।
শুক্রবার থেকে বঙ্গবসাগরের উপর একটি বিপরীত ঘূর্ণাবত তৈরি হবে যার ফলে বাংলার আকাশে ঢুকবে জলীয়বাষ্প এবং সেই সাথে বাড়বে দিনের তাপমাত্রা। তবে উত্তরবঙ্গ এবং পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকই থাকবে। এখনই বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া জেলার কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকছে।
আবহাওয়ার আরো আপডেট পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।