এই ইন্টারনেটের যুগে মানুষ অনেক বেশি আধুনিক হয়ে গেছে এবং সেকারণেই ওয়াইফাই-এর গতি (WiFi Speed) ভালো হওয়া আবশ্যিক। আজকাল সব অফিসে তো অবশ্যই থাকে, তাছাড়া এখন মোটামুটি সবার বাড়িতেই ওয়াইফাই দেখা যায়। করোনা পরিস্থিতিতে এর প্রয়োজন অনেক গুণ বেড়ে গেছিল, কারণ তখন বাড়িতে বসেই করতে হতো অফিস ও স্কুলের কাজ।
কিন্তু যদি এই কাজের মাঝখানে ব্যাঘাত ঘটে? ইন্টারনেটের গতি স্লো হয়ে যায়? ব্যাপারটা মোটেই ভালো হবে না নিঃসন্দেহে। অনেককেই এই সমস্যার সম্মুখীন নিত্যদিন হতে হয়। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন আসলে কেন হয় এই সমস্যা এবং এর থেকে মুক্তি পাবার উপায় কি?
সূচিপত্র (Table of Contents)
ওয়াইফাই এর গতি (WiFi Speed) মন্থর হওয়ার মূল কারণ
বিভিন্ন কারণের জন্য ইন্টারনেটের গতির স্লো হয়ে যায়। কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো রাউটার। রাউটারের জন্যই ওয়াইফাই অনেক সময় স্লো হয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় যদি এমনটা হয় তাহলে তার সত্যিই বিরক্তিকর। রাউটারের অবস্থান থেকে শুরু করে, ফ্রিকোয়েন্সি, অ্যান্টেনা ইত্যাদি অনেক কারণেই এই সমস্যা হতে পারে। ওয়াইফাই এর গতি (WiFi Speed) বাড়ানোর জন্য কিছু টোটকা অবশ্যই কাজে লাগতে পারে। জেনে নিন সেই টোটকাগুলি।
সঠিক জায়গায় রাউটার স্থাপন
রাউটার যদি সঠিক জায়গায় না থাকে তাহলে ইন্টারনেটের স্পিড কখনোই ঠিকঠাক হবে না। স্মার্টফোনের সাহায্যে আপনি মেপে নিতে পারবেন যে ঘরের কোন জায়গায় রাউটার বসানো সঠিক হবে। তার জন্য আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘স্পিড টেস্ট এণ্ড ওয়াইফাই অ্যানালাইজার’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এর মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন ঘরের কোন জায়গায় রাউটার বসালে ওয়াইফাই-এর স্পিড (WiFi Speed) ভালো হবে।
ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন
ওয়াইফাই এর গতি (WiFi Speed) বাড়ানোর জন্য আপনি ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করতে পারেন। সাধারণত আধুনিক রাউটারগুলোতে ২.৪ আর ৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড থাকে। তবে ২.৪ গিগাহার্টজ (2.4 GHz) ফ্রিকোয়েন্সিতে ওয়াইফাই-এর স্পিড (WiFi Speed) কখনোই তেমন ভালো হওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ৩০০ এমবিপিএস (300 Mbps) পর্যন্ত গতি আপনি পেতে পারেন। তবে ২.৪ গিগাহার্টজ এর ক্ষেত্রে ওয়াইফাই এর কভারেজ বা রেঞ্জ আপনি বেশি পাবেন। যদি আপনার রাউটারে ৫ গিগাহার্টজ (5 GHz) ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড থাকে, তাহলে আপনার ওয়াইফাই এর স্পিড স্লো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এক্ষেত্রে আপনি রেঞ্জ কম পাবেন, তবে গতি পেতে পারেন ১ জিবিপিএস (1 Gbps) পর্যন্ত। যদিও সব রাউটারে এই স্পিড সমান থাকে না। তাই কেনার আগে অবশ্যই দেখে কিনবেন।
রাউটারের উপরে ফাঁকা জায়গা
সব সময় মনে রাখবেন রাউটারের উপরের অ্যান্টেনাই সিগনাল আদান-প্রদান করে। রাউটারের উপরের দিক সব সময় একটু উঁচু ও খালি জায়গায় রাখার চেষ্টা করবেন। এতে ডিভাইসে থাকবে ভালো সিগন্যাল এবং ইন্টারনেটের স্পিড ভালো হবে।
পড়ুন -> শীঘ্রই আসছে Jio Air Fiber, পেয়ে যান তার ছাড়াই High Speed Broadband Internet
রাউটারের অবস্থান
আপনার বাড়িতে যদি ওয়াইফাই থাকে তাহলে রাউটারের অবস্থান সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। রাউটার সব সময় ফাঁকা জায়গায় ভালো কাজ করে। কিন্তু রাউটারের সামনে যত বেশি বাধা আসবে, ততই আপনার ইন্টারনেট স্লো হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে দেখতে হবে আপনার রাউটারটি সঠিক স্থানে রাখা আছে কিনা।
অ্যান্টেনার অবস্থান
বর্তমানে বেশিরভাগ রাউটারে একাধিক অ্যান্টেনা থাকে। ওয়াইফাই-এর স্পিড (WiFi Speed) ভালো পেতে গেলে অ্যান্টেনার অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি অ্যান্টেনা যদি লম্বালম্বি রাখা হয় তবে অন্য অ্যান্টেনাটি রাখতে হবে আড়াআড়িভাবে। ঘরের যে কোন প্রান্তে ডিভাইস থাকুক না কেন সংযোগ স্থাপন করতে সময় লাগবে না।
এই রকম আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।