Nipah Virus in India: কেরালায় আবার নিপা ভাইরাসের আতঙ্ক! সংক্রমণ ছড়াতে পারে?

Nipah Virus in India: কেরালায় আবার নিপা ভাইরাসের আতঙ্ক! সংক্রমণ ছড়াতে পারে?

Nipah Virus in India: কোভিড-১৯ এর পর বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের নাম আমাদের সামনে এসেছে। সেরকমই একটি ভাইরাসের নাম হল নিপা ভাইরাস। ইতিমধ্যে খোঁজ মিলেছে দুজন সংক্রামিত ব্যক্তির। মৃত্যু হয়েছে নাকি দুজনের। খবরটি সামনে আসতেই বিভিন্ন প্রচারের মাধ্যমে গোটা রাজ্যকে সতর্ক করা হচ্ছে।

সংক্রমণের উৎস্যস্থল

গত মঙ্গলবার কেরালার (Kerala) কোজিকোড় নামে একটি গ্রামে চারজন বাসিন্দার শরীরে এই ভাইরাসের দেখা মেলে। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজনকে কন্টেনমেন্ট জনে রাখা হয়েছে। এছাড়া এই গ্রামের আশেপাশের গ্রামগুলো যেমন- আতানচেরি, মারুথনকারা, কুট্টিভাদি, কাভিলামপাড়া এবং ভিল্লাপাল্লি ইত্যাদি পঞ্চায়েত গ্রামগুলিকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

Nipah Virus in India – ভাইরাসটি নিয়ে সমীক্ষা

ভাইরাসটি কোথা থেকে উৎপত্তি হয়েছে সেটা পরীক্ষা করে দেখার জন্য ইতিমধ্যে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির একটি দল কেরালায় পৌঁছে গিয়েছে এবং কোজিকোড় মেডিকেল কলেজে একটি মোবাইল ল্যাব বসানো হয়েছে। বাদুড় নিয়েও সমীক্ষা করা হবে একথাও জানানো হয়েছে। এছাড়া চেন্নাই থেকে একদল এপিডেমিওলজিস্ট আসছেন। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ এবং মবোক্লোনাল অ্যান্টিবডি পাঠাচ্ছে নিপা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য।

Nipah Virus in India: কেরালা থেকে কি পুরো ভারতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে?
Nipah Virus in India: কেরালা থেকে কি পুরো ভারতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে?

Nipah Virus in India – স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতামত

ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ বুধবার কেরলের বিধানসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, এই ভাইরাসটি নিপা ভাইরাসের বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট যা মানবদেহ থেকে অপর মানবদেহে সংক্রামিত হয়। এই স্টেনের সংক্রমণের হার কম হলেও মৃত্যুহার অনেক বেশি। তাই সবাইকে বারবার করে সতর্ক করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -> Adenovirus: অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের বহু শিশু; কিভাবে সাবধানে রাখবেন সন্তানদের?

সরকার কর্তৃক ব্যবস্থাপনা

নিপা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কেরল সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা জারি করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ সিপিআই বিধায়ক পি বালাচন্দ্রনকে জানান, কন্ট্যাক্ট টেস্টিং, নজরদারি, কোনটায় সংক্রমণ কম এবং কোনটায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে, কনটেন্টমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এই ধরনের আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *