Madhyamik Exam: মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হবার গোপন মন্ত্র

Madhyamik Exam: মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হবার গোপন মন্ত্র

মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) হল ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের প্রথম বোর্ডের পরীক্ষা। তাই এই পরীক্ষার সাথে তাদের অনেক আশা ও ভরসা জড়িয়ে থাকে। ভালো রেজাল্ট করলে খুলে যায় জীবনের সাফল্যের পথ। ভালো রেজাল্ট করার কিছু জানা ও অজানা উপায় জেনে নিন।

Tips to get good marks in Madhyamik exam - মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার টিপস
Tips to get good marks in Madhyamik exam – মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার টিপস

খাতা দেখার নিয়ম

সেকেন্ডারি বোর্ড থেকে যে শেষ নোটিস দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) -এর খাতা গুলো দায়িত্বে থাকা  সব পরীক্ষককে খুব ভালো ভাবে খাতা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে নম্বর দেওয়ার পর উত্তর পত্রগুলি প্রধান পরীক্ষক এর কাছে জমা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। এইখানে সব কাজ শেষ হয়ে যায় না। এরপর শুরু হয় রেজাল্ট তৈরির কাজ। সব কাজ শেষ করে মোটামুটি জুলাই আগস্ট এর মধ্যে রেজাল্ট বার করার চেষ্টা করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এইসব নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম ঘটেছে।

মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) -য় সফল হবার টিপস

ছাত্র জীবনের সবথেকে বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam)। কারণ এই পরীক্ষাতে বোর্ডের করা প্রশ্নের উত্তর ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। এই পরীক্ষায় সফল হবার উপরে নির্ভর করে জীবনের পরবর্তী পদক্ষেপ। অর্থাৎ মাধ্যমিকের পরেই ছাত্র-ছাত্রীরা বেছে নেয় তাদের পছন্দসই বিষয়। কেউ চলে যায় কলা বিভাগে, কেউ বা যায় বিজ্ঞান বিভাগে আবার অনেকে যায় বাণিজ্য বিভাগে। তাই পরীক্ষা যখন “বড়” তার প্রস্তুতিটিও “বড়” হওয়া উচিত। তাই আগামী বছরের পরীক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি কার্যকরী টিপস, যা সত্যি জীবনে সফল হতে সাহায্য করে।

সফল হবার প্রথম উপায়

মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) -এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাংলা। তাই প্রথমেই আলোচনা করা হলো মাতৃভাষা বাংলাকে নিয়ে। এই বিষয়টি পড়ার সময়পাঠ্য পুস্তকের নানা গল্প বা কবিতা মনোযোগ সহকারে পড়া উচিৎ। বাংলা পড়ার সময় বাংলার গল্পগুলি ও কবিতাগুলোকে ভালোভাবে পড়ে তার মূল বক্তব্য গুলোকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই অনেক সহজে বিভিন্ন রকম প্রশ্নের উত্তর নিজের ভাষায় সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে পারে যাবে। বাংলার ক্ষেত্রে ভাষার উপর দক্ষতা থাকাটা খুবই জরুরি। সহায়িকা বই পড়ে লাইনের পর লাইন মুখস্ত করে সেটি সহজে আয়ত্ত করা সম্ভব নয়। গল্পের বই, রচনাসামগ্রী, জীবনী ও প্রতিদিন সংবাদপত্র পাঠের মাধ্যমে সেটি রপ্ত করতে হবে।

যখনই দেখা যাবে লেখা বড় হয়ে যাচ্ছে, তখন লেখাটিকে প্যারা অনুযায়ী ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে। আবার যখন নম্বর ভাগ করা থাকবে যেমন ২+১ অথবা ১+২, তখন দুটি ভাগের শুরুতে “১=১“ চিহ্নটি ব্যবহার করলে ভাগ দুটিকে আলাদা বোঝালে ভালো হয়। গল্প বা কবিতার ক্ষেত্রে যদি গল্প বা কবিতার লাইন তুলে ধরা হয়, তাহলে নম্বর আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গল্প বা কবিতার লাইনগুলো অবশ্যই লিখতে হবে কালো কালিতে। এতে নম্বর আরো বাড়বে এবং পরীক্ষকের নজর কাড়বে।

সফল হবার দ্বিতীয় উপায়

মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) -এর দ্বিতীয় বিষয় হলো ইংরেজি। এক্ষেত্রেও গদ্য (Prose) ও পদ্য (Poem) গুলোকে ভালোভাবে পড়া উচিৎ এবং মূল বক্তব্য গুলোকে ভালো করে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ইংরেজিতে আনসিন (Unseen) থাকে। তাই এইটি পড়ার সময় মনোযোগ দিয়ে ও খুঁটিয়ে পড়া উচিৎ। এইটির প্রশ্ন-উত্তর লেখার সময় সহজ ভাষায় নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। একটি কঠিন শব্দ ব্যবহার করে ভুল করার থেকে একটু সহজ শব্দ ব্যবহার করা অনেক বেশি শ্রেয়। সহজ শব্দ ব্যবহার করলেও বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব। তবে বাংলার মতো ইংরেজির ক্ষেত্রেও কবিতা কিংবা গল্পের থেকে লাইন তুলে দিলে সেটি আরো বেশি আকর্ষণীয় হবে।

সফল হবার তৃতীয় উপায়

এবারের আলোচ্য বিষয় হলো মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) -এর অন্য দুইটি বিষয়ে জীবন বিজ্ঞান ও ভৌত বিজ্ঞান। বিজ্ঞান বিষয়টি পুরোপুরি বোঝার উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমেই পুরো বিষয়টিকে ভালো ভাবে বুঝে নিতে হবে। বিজ্ঞানসম্মত নাম এবং সংজ্ঞা গুলি মুখস্ত করে নিতে হবে। বিজ্ঞানে কোনো কিছুর বৈশিষ্ট্য লিখতে দেওয়া হলে, প্রত্যেকটি পয়েন্ট আলাদা আলাদা করে লেখা উচিত এতে নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তেমনই যদি কোনো তিন নম্বরের কোন প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয় সেক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে ছয়টি পয়েন্ট করা উচিত তবে উত্তর লিখতে গিয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেন পয়েন্টগুলি যথাযথ হয়।

সফল হবার চতুর্থ উপায়

মনে রাখতে হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) -য় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নের ক্ষেত্রে পার্থক্য জানতে চাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তাই কোন পার্থক্যের উত্তর লেখার সময় খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে পয়েন্ট তুলে ধরা উচিত। উদাহরণের মাধ্যমে নিম্নে দেখানো হলো

প্রশ্ন: উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মাইটোসিস কোষ বিভাজনের পার্থক্য লেখো।
উত্তর: উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মাইটোসিস কোষ বিভাজনের পার্থক্য:

বিষয়:-
উদ্ভিদকোষের মাইটোসিস এবং প্রাণীকোষের মাইটোসিস কোষ বিভাজন
১…..
১….

২…..
২…..

৩…..
৩…..

পার্থক্য লেখার সময় এই প্যাটার্নটি ফলো করলে নাম্বার আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

সফল হবার পঞ্চম উপায়

মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) -এর ছাত্রছাত্রীদের কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম অংক। অংকে ভালো নম্বর পেতে হলে নামতা মুখস্থ রাখাটা অত্যন্ত জরুরী। অংক যেহেতু হিসাব পত্রের বিষয় তাই অংক কষার সময় বিশেষ সতর্ক হয়ে করা উচিত। এছাড়াও অংক করে বারবার উত্তর মেলাতে হবে। একটি অংক করেই তা মিলিয়ে দেখা উচিত। নাহলে পরে সব অংক করে মেলাতে গেলে একটি ভুল হলে সেটি ঠিক করা মুশকিল হয়ে যেতে পারে।

সফল হবার ষষ্ঠ উপায়

মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) -য় অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হল জীবন বিজ্ঞানের চিত্র অংকন। জীবন বিজ্ঞানের চিত্র শৈল্পিক ভাবে উৎকর্ষজনক না হলেও যেন বৈজ্ঞানিক ভাবে যথাযথ হয়। পয়েন্ট করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে সেগুলো এলোমেলো না হয়ে যায়। ডান দিকে লম্বা উলম্ব দাগ কেটে সুন্দর করে পয়েন্ট করে লেখা উচিত।

সফল হবার সপ্তম উপায়

একটা সময় তো কথিত ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) -য় ইতিহাসে ভালো নম্বর তোলা আর রাতের বেলায় সূর্য ওঠা সমান ব্যাপার। তবে বর্তমানে চিত্র অনেকটাই বদলেছে। তবুও ভালোভাবে ইতিহাস বইটি পড়তে হবে। সাল এবং তারিখ এই দুটি মনে রাখা সত্যিই খুব কঠিন হয়ে যায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে। তাই খাতায় দুটি কলাম ভাগ করে তার একদিকে সাল এবং অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা গুলো লিখে রাখা উচিত। এতে বারবার বই খুলে মুখস্ত করার দরকারও পড়বে না এবং জিনিসটি চটপট মুখস্থ হয়ে যাবে।
আরো একটি ভালো উপায় হল যখনি কোন প্রশ্নের উত্তর দেবে অবশ্যই হেডিং করবে। কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাব-হেডিং লেখার মাধ্যমেও ভালো নাম্বার তোলা যেতে পারে।

সফল হবার অষ্টম উপায়

কোনো বিষয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য রচনার মত বড় আকারে লেখার দরকার নেই। যদি লেখাটি পয়েন্ট করে লেখা হয়, যেমন ১,২,৩,৪ করে লিখলে বেশি আকর্ষণীয় হবে লেখাটি। ছকের মাধ্যমেও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যেতে পারে। মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) -য় ভূগোলের এর ক্ষেত্রে এই গোপন মন্ত্রটি খুব বেশি কার্যকরী হতে পারে।

অবশ্যই মনে রাখতে হবে

পড়াশোনা হল একটি সাধনার জিনিস। যে যত বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়বে সে তত বেশি সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই ভালো নাম্বার পেতে গেলে যত্ন সহকারে ও মন দিয়ে পড়াশোনা করা অতি আবশ্যক। আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৩ (Madhyamik exam 2023) এ সবার জন্যে রইলো অগ্রিম শুভেচ্ছা।

মাধ্যমিক সম্বন্ধে আরো জানতে চোখ রাখুন নিম্নলখিত ওয়েবসাইটগুলিতে:

West Bengal Board of Secondary Education / পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ -> https://wbbse.wb.gov.in/

Tripura Board of Secondary Education / ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষৎ -> https://tbse.tripura.gov.in/

এইরূপ আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *